অ্যান্টিগায় শেষ দিনের অপেক্ষায় বাংলাদেশ-ওয়েস্ট ইন্ডিজ
ক্যারিয়ারসেরা বোলিংয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে দ্বিতীয় ইনিংসে অল্পতেই আটকে দিয়েছিলেন তাসকিন আহমেদ। তাতেও খুব একটা সুবিধা নিতে পারেনি বাংলাদেশ। কারণ আগের ইনিংসের লিডসহ স্বাগতিকদের পুঁজি দাঁড়ায় ৩৩৩ রানে! যে রান তাড়ায় তাশের ঘরের মতো ভেঙে পড়েছে বাংলাদেশের ব্যাটিং অর্ডার।
ব্যাটারদের দুর্দশায় সোমবার চতুর্থ দিনেই হারতে বসেছিল বাংলাদেশ। তবে দিনের শেষভাবে সেটা আর হতে দেননি মেহেদী হাসান মিরাজ ও জাকের আলি। দুজন মিলে বাংলাদেশকে টানেন। শেষ বিকেলে ৪৫ রানে মিরাজ আউট হলে বাকি সময় উইকেটে কাটিয়ে দেন জাকের।
অ্যান্টিগা টেস্টের চতুর্থ দিন শেষে সাত উইকেটে স্কোরবোর্ডে ১০৯ রান তুলেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এখনো ক্যারিবীয়দের থেকে ২২৫ রানে পিছিয়ে আছে মেহেদী হাসান মিরাজের দল।
বাংলাদেশকে ৩৩৪ রানের কঠিন লক্ষ্য ছুঁড়ে দেয় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। চতুর্থ ইনিংসে এই রান তোলা চ্যালেঞ্জিং। বাংলাদেশের জন্য তো আরও বড় পাহাড়াসম। এই লক্ষ্য পাড়ি দিতে গিয়ে প্রথম ওভারেই ফিরলেন জাকির হাসান। কেমার রোচের অফ স্টাম্পের বাইরে শর্ট ডেলিভারিতে বোল্ড হয়ে শূন্যতে বিদায় নেন বাঁহাতি ওপেনার।
একটু পর ড্রেসিংরুমের পথে হাঁটলেন মাহমুদুল হাসান জয়। জেডেন সিলসের বলে স্লিপে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন জয় (৬)।
এরপর একে একে প্রতিপক্ষকে উইকেট উপহার দেন শাহাদাত হোসেন দিপু ও মুমিনুল হক। আগের ইনিংসে ফিফটি করা মুমিনুল ফেরেন ১১ রানে। আর রোচের ফাঁদে পড়ে শাহাদাত বিদায় নেন ৪ রানে।
মাত্র ২৩ রানে চার উইকেট হারিয়ে ভীষণ চাপে পড়ে যায় বাংলাদেশ। সেই চাপ থেকে উদ্ধার করার চেষ্টায় জুটি বাধেন লিটন দাস ও মেহেদী হাসান মিরাজ। দুজন মিলে আগেও দলকে পথ দেখিয়েছিলেন। কিন্তু লাভ হয়নি। লিটনকে বিদায় করে সেই চেষ্টা ভেস্তে দেন জোসেফ। ২২ রানে লিটন ফিরলে ভাঙে ৩৬ রানের জুটি।
বাকি সময় মিরাজ-জাকেররা মিলে চেষ্টা করে খেলা পঞ্চম দিনে নেন।
এর আগে অ্যান্টিগায় টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে জাস্টিন গ্রিভসের সেঞ্চুরিতে ৪৫০ রান করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। সেঞ্চুরিয়ান গ্রিভস করেন ১১৫ রান।
বিপরীতে প্রথম ইনিংসে নেমে ২৬৯ রানে থামে বাংলাদেশ। শেষ ব্যাটার হিসেবে শরিফুল ও তাসকিনের ব্যাট করার সুযোগ থাকলেও সেটা না করে ২৬৯ রানেই ইনিংস ঘোষণা দেয় বাংলাদেশ। ফলে আগের ইনিংসের ১৮১ রানের লিড সহ ওয়েস্ট ইন্ডিজের পুঁজি দাড় করায় ৩৩৪ রানের। দ্বিতীয় ইনিংসে তারা স্কোরবোর্ডে যোগ করে ১৫২ রান।
বাংলাদেশের হয়ে একমাত্র বলার মতো পারফর্ম করেছেন তাসকিন আহমেদ। ৬৪ রান দিয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে তাসকিন নিয়েছেন ছয় উইকেট। যা তার ক্যারিয়ারসেরা বোলিং। মোট দুই ইনিংস মিলিয়ে ডানহাতি পেসারের সংগ্রহ আট উইকেট।