ওয়ানডে সিরিজেও দাপুটে পাকিস্তান
জিম্বাবুয়ের সফরে গিয়ে প্রথম দুটি টি-টোয়েন্টির পর তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের শুরুটাও জয় দিয়ে করেছে পাকিস্তান। দুটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচে কিছুটা হলেও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ক্রিকেট উপহার দিতে পেরেছিল স্বাগতিক জিম্বাবুয়ে। কিন্তু ওয়ানডেতে পাকিস্তানের লেগস্পিনার ইয়াসির শাহর দুর্দান্ত বোলিংয়ের মুখে একেবারেই অসহায় আত্মসমর্পণ করেছে এলটন চিগুম্বুরার দল। প্রথম ওয়ানডেতে হেরেছে ১৩১ রানের বড় ব্যবধানে।
জয়ের জন্য ২৬০ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ইয়াসিরের ঘূর্ণিতে ৩৭ ওভারের মধ্যে মাত্র ১২৮ রানেই গুটিয়ে যায় জিম্বাবুয়ের ইনিংস। নয় ওভার বল করে মাত্র ২৬ রানের বিনিময়ে ছয়টি উইকেট নিয়েছেন ইয়াসির। ম্যাচসেরার পুরস্কারও উঠেছে তাঁর হাতে। তিনটি উইকেট নিয়ে জিম্বাবুয়েকে দ্রুত গুটিয়ে দেওয়ার পেছনে ভালো অবদান রেখেছেন শোয়েব মালিক।
জিম্বাবুয়ে ব্যাট হাতে শুরু থেকেই চাপের মুখে ছিল। রানের চাকা সচল রাখতে রীতিমতো হিমশিম খেতে হয়েছে স্বাগতিক ব্যাটসম্যানদের। নবম ওভারে চিমু চিবাবার (১২) উইকেট তুলে নিয়ে প্রথম আঘাত হেনেছিলেন ইমাদ ওয়াসিম। আরেক ওপেনার ব্রায়ান চারি (১৬) ও হ্যামিল্টন মাসাকাদজাকে (১৫) ফিরিয়েছেন ইয়াসির শাহ। ১৮ ওভার শেষে স্কোর দাঁড়িয়েছিল ৫৬/৩। ২৬ রান করে শোয়েব মালিকের বলে বোল্ড হয়ে ফিরেছেন জিম্বাবুয়ের ব্যাটিং নির্ভরতার প্রতীক শেন উইলিয়ামস। এরপর টানা দুই ওভারে সিকান্দার শাহ (১৯) ও অধিনায়ক এলটন চিগুম্বুরাকে (২২) সাজঘরমুখী করেন ইয়াসির। ৩২.২ ওভারের মধ্যে মাত্র ১০৭ রান সংগ্রহ করতেই সাত উইকেট হারানোর পর হার নিশ্চিতই হয়ে যায় জিম্বাবুয়ের। স্বাগতিকদের ইনিংসটা দ্রুত গুটিয়ে দিতেও খুব বেশি সময় নেননি পাকিস্তানের বোলাররা। ৩৭ ওভারের মধ্যে ১২৮ রানে গুটিয়ে যায় জিম্বাবুয়ে।
এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে মোহাম্মদ রিদওয়ানের অপরাজিত ৭৫, ইমাদ ওয়াসিমের ৬১, শরফরাজ আহমেদের ৪৪ ও শোয়েব মালিকের ৩১ রানে ভর করে স্কোরবোর্ডে ২৬৯ রান জমা করেছিল পাকিস্তান।