জাতীয় দলে ফেরার আশা পরিণত তাসকিনের
বাজে ফর্ম আর ইনজুরি জাতীয় দলের বাইরে ঠেলে দিয়েছিল। ফিটনেসের ঘাটতিতে কিছুটা কমে গিয়েছিল নিজের মূল শক্তি গতি। তবে বিপিএলে যেন নিজেকে ফিরে পাচ্ছেন একটু একটু করে। দর্শকরা কিছুটা হলেও দেখেছে সেই পুরোনো তাসকিনের ঝলক। ব্যাটসম্যানকে চমকে দেওয়া গতি আর বাউন্সের রেশ দেখা গেছে প্রথম তিন ম্যাচে। তাই জাতীয় দলে ফেরার আশা প্রবল হয়েছে এই তারকা পেসারের।
বিপিএলে প্রথমবারের মতো খেলছেন সিলেট সিক্সার্সের হয়ে। দলের কোচ হিসেবে পেয়েছেন বিশ্ব ক্রিকেটের জীবন্ত কিংবদন্তি পাকিস্তানি পেসতারকা ওয়াকার ইউনুসকে। এমন একজনের সংস্পর্শে এসে ফিরে পেয়েছেন আত্মবিশ্বাস। কোচকে প্রশংসায় ভাসিয়ে তাসকিন বলেছেন, ‘নিঃসন্দেহে উনি একজন কিংবদন্তি। খেলোয়াড় আর কোচ হিসেবে বহু বছরের অভিজ্ঞতা আছে উনার। আমরা ম্যাচে কোনো ভুল করলে উনি সেটা খুব সহজে ধরে ফেলেন। আর ভুলের কারণটাও বাতলে দেন সঙ্গে সঙ্গেই।’
টেস্ট আর ওয়ানডে ক্রিকেটের সর্বকালের সেরাদের একজন ওয়াকারের সান্নিধ্যে এসে নিজের তুনে নতুন অস্ত্র যুক্ত করার চেষ্টায় আছেন তাসকিন। আত্মবিশ্বাসের সাথে বলেছেন, ‘আমরা স্থানীয় বোলাররা উনার সঙ্গে কথা বলে নতুন নতুন কৌশল রপ্ত করার চেষ্টা করছি। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে বোলিংটা যেন ব্যাটসম্যানের অনুমেয় না হয়ে যায় সেদিকে উনি খুব জোর দেন। শুধু স্লোয়ার বা জোরে বল নয়, বিভিন্ন বৈচিত্র্যের সংমিশ্রণে স্পটে বোলিং করা নিয়ে উনি কাজ করছেন। নিজেদের সামর্থ্য নিয়ে আত্মবিশ্বাস বাড়ানোর চেষ্টা করছেন প্রতিনিয়ত। আমাদের পুরো বোলিং ইউনিট আগামী দিনগুলোতে অনেক কিছু শিখতে পারব আশা করছি।’
সবকিছু মিলিয়ে আরো ক্ষুরধার হয়ে জাতীয় দলে ফেরার আকাঙ্ক্ষা থেকে তাসকিন বলেছেন, ‘সব সময় বিশ্বাস করি, জাতীয় দলে খেলার যোগ্যতা আছে আমার । চোট আর বাজে ছন্দ মিলিয়ে গত বছরটা ভালো যায়নি। ফিটনেস আর ভ্যারিয়েশন নিয়ে কঠোর পরিশ্রম করছি। বোলিংয়ে নতুনত্ব আনার পাশাপাশি চেষ্টা করছি লাইন, লেংথটাও আরো নিখুঁত করার। আল্লাহ যদি সুস্থ রাখেন তাহলে জাতীয় দলের জার্সি গায়ে দেশকে সেবা দিতে পারব আশা করি।’
এমন এক তাসকিনকে ফিরে পেলে সিলেট সিক্সার্স শুধু নয়, দীর্ঘমেয়াদে লাভ হবে বাংলাদেশ ক্রিকেটের।