ইংলিশদের বিদায় করে সেমির দৌড়ে আফগানিস্তান

হেরে গেলেই নিশ্চিত হয়ে যাবে বিদায়। এমন গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে ব্যাট হাতে জ্বলে ওঠেন ইংলিশ ব্যাটার জো রুট। তবে, তার একক প্রচেষ্টা দলের জয়ের জন্য যথেষ্ঠ ছিল না। ২০২৩ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপের পর আবারও ইংল্যান্ডকে বধ করল আফগানিস্তান। একই সঙ্গে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের পর তৃতীয় দল হিসেবে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি থেকে বিদায় নিল ইংলিশরা।
বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে আগে ব্যাট করে ৭ উইকেটে ৩২৫ রান তুলেছিল আফগানরা। তাড়া করতে নেমে ইংল্যান্ড ৪৯.৫ ওভারে অলআউট হয়ে যায় ৩১৭ রানে। ইনিংসের এক বল বাকি থাকতে তাদের অলআউট করে ৮ রানে জেতে আফগানিস্তান।
লক্ষ্যটা কঠিন ছিল ইংল্যান্ডের। এজন্য শুরুটা ভালো প্রয়োজন ছিল। তবে সেটা হয়নি। ১২ রান করে বিদায় নেন ফিল সল্ট। তিনে নামা জেমি স্মিথ ৯ রানে ফিরে গেছে বিপদ বাড়ে। যদিও আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান বেন ডাকেট ও জো রুট পথে ফেরান ইংল্যান্ড। ডাকেট ৩৮ রানে ফিরে গেলেও টিকে ছিলেন রুট। অভিজ্ঞ এই ব্যাটার জয়ের খুব কাছে নিয়ে গিয়েছিলেন দলকে। কিন্তু তিনি ১২০ রানে বিদায় নেওয়ার পর লক্ষ্যে আর পৌঁছাতে পারেনি ইংলিশরা। রুট তার ১১১ রানের ইনিংসটি সাজান ১১ চার ও ১ ছক্কায়। আফগানদের সেরা বোলার আজমতউল্লাহ ওমরজাই। এই পেসার ৯.৫ ওভারে ৫৮ রান দিয়ে নেন ৫ উইকেট।
এর আগে, ব্যাট হাতে শুরুটা ভালো হয়নি আফগানিস্তানের। দলীয় ১১ রানের মাথায় প্রথম উইকেট হারায় দলটি। ১৫ বলে ৬ রান করে ফেরেন রহমানউল্লাহ গুরবাজ। এরপর দ্রুতই ফেরেন আরেক ব্যাটার সেদিকউল্লাহ অটল। ৪ বলে ৪ রান আসে তার ব্যাট থেকে।
দ্রুত দুই উইকেট হারিয়ে বেশ চাপে পড়ে আফগানিস্তান। সেই চাপ সামাল দিতে গিয়েও ব্যর্থ হন রহমত শাহ। ৯ বলে মাত্র ৪ রান আসে তার ব্যাট থেকে। এরপরই বড় জুটি পায় আফগানরা। হাসমতউল্লাহ শাহিদী ও ওপেনার ইব্রাহিম জাদরান মিলে গড়েন প্রায় ১০১ রানের জুটি। এতেই বড় সংগ্রহের ভিত পায় দলটি। শাহিদী ৪০ ও ১৭৭ রানে রানে ফিরলেও পরের ব্যাটারদের দৃঢ়তায় ঠিকই চ্যালেঞ্জিং সংগ্রহ দাঁড় করিয়ে ফেলে এশিয়ার দলটি।