পেশাদার লিগে নিম্নমানের ফুটবল ব্যবহারের অভিযোগ
প্রায় ১২০ কোটি টাকা বাজেট পেশাদার লিগের। অথচ, ভারত থেকে আনা কমদামি নিম্নমানের ফুটবল ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে লিগে। ফুটবলারসহ পেশাদার লিগের দলগুলোর কর্মকর্তারা বলছেন, মানসম্পন্ন বল ব্যবহার না করায় খেলোয়াড়দের মাঠের পারফরম্যান্সে নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। কিন্তু বাফুফে তিন মৌসুম আগে ভারত থেকে আমদানি করা বল দিয়েই পেশাদার লিগ আয়োজন করে যাচ্ছে।
এমনিতেই ঢাকার ফুটবলে দর্শকখরা বহুদিনের। নেই আগের মতো প্রতিদ্বন্দ্বিতা আর ভালো মানের স্থানীয় তারকা খেলোয়াড়। প্রায় প্রত্যেক ম্যাচেই অগোছালো ফুটবল খেলে দলগুলো। তবে কোস্টারিকার ২০১৮ বিশ্বকাপ দলের খেলোয়াড় কলিনজেস এবার খেলছেন বসুন্ধরার হয়ে। আছেন ভিনিসিয়াসের মতো ভালো মানের খেলোয়াড়। উঁচুমাপের এসব খেলোয়াড় লিগে খেলা সত্ত্বেও পর্যাপ্ত গোল আর উত্তেজনাপূর্ণ খেলা অনুপস্থিত। দলগুলো বলছে ভালো বলই সরবরাহ করা হয় না ম্যাচগুলোতে।
পেশাদার লিগের দল বসুন্ধরা কিংসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইমরুল হাসান এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘দলের খেলোয়াড়রা প্র্যাকটিসে মোটামুটি ঠিকঠাক শট নিচ্ছে। কিন্তু ম্যাচে নিম্নমানের বলে খেলা হওয়ায় তাঁদের দূরপাল্লার শটগুলো গোলপোস্টের লক্ষ্যেই থাকছে না।’ লিগে খেলা তারকা ফুটবলার জাহিদ হোসেন এমিলিও নিজের অসন্তুষ্টি প্রকাশ করে কমদামের বল দ্রুত পরিবর্তন করতে বলেছেন। বলেছেন, ভারত থেকে এই বল আনা হলেও সেই দেশের সুপার লিগে ‘নেভিয়া’ নামের ভালো একটি বল ব্যবহার করা হয়।
এ প্রসঙ্গে সাইফ স্পোর্টিং ক্লাবের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাসির চৌধুরী বলেছেন, ‘যেহেতু বাজেটের ঘাটতি নেই, তাই বাফুফে চাইলেই ‘নাইকি’ বা ‘অ্যাডিডাসের’ মতো বল এনে লিগ আয়োজন করতে পারে। ভালো মানের কিছু খেলোয়াড় আসায় ফুটবলের ঘুরে দাঁড়ানোর এ সময়ে ব্যক্তিগতভাবে আমি মনে করি বাফুফের উচিত এইদিকে নজর দেওয়া।’
তবে বাফুফের সাধারণ সম্পাদক আবু নাইম সোহাগ কিছুটা দ্বিমত পোষণ করে বলেছেন, ‘ম্যাচে ভালো খেলতে হলে প্র্যাকটিসেও ম্যাচবলই ব্যবহার করা উচিত দলগুলোর। এরচেয়ে ভালো বল এই মুহূর্তে পাওয়া যাবে কি না, সেটার মূল্য কত ইত্যাদি বিবেচনায় নিয়ে আমরা চেষ্টা করব সমস্যার সমাধান করার।’