এ রেকর্ড শুধুই সাকিবের!
বিপিএলে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানসের কাছে হেরে গতকাল শিরোপা জয়ের স্বপ্ন ভেঙে গেছে ঢাকা ডায়নামাইটসের। কিন্তু হতাশার মাঝেও ব্যক্তিগত অনন্য এক অর্জনে উদ্ভাসিত হয়েছেন দলের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার জিতেছেন এই তারকা ক্রিকেটার। বিপিএলের ছয়টি আসরে এ নিয়ে তৃতীয়বার টুর্ণামেন্টের সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার জিতলেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার। অন্য কোনো ক্রিকেটার একবারের বেশি এই পুরস্কার জিততে পারেননি।
এবারের আসরে ব্যাট-বল দুটোতেই দলকে নিজের সর্বোচ্চ সার্ভিস দেওয়ার চেষ্টা করেছেন সাকিব আল হাসান। টুর্নামেন্টজুড়ে অসাধারণ খেলে টানা তৃতীয় ফাইনালে নিয়ে গেছেন ঢাকা ডায়নামাইটসকে। আসরে সব মিলিয়ে ১৫টি ম্যাচ খেলেছেন সাকিব আল হাসান। ব্যাট হাতে দুটি অর্ধশতকসহ মোট ৩০১ রান করেছেন তিনি। অপরাজিত ৬১ রান এবারের আসরে তাঁর ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ স্কোর। ৩১৭ রান করা রনি তালুকদারের পর ঢাকার হয়ে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক সাকিবই। আর এবারের টুর্নামেন্টে সবচেয়ে বেশি রান সংগ্রাহকদের তালিকার নয় নাম্বারে আছেন বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান।
তবে সাকিব আসল জাদুটা দেখিয়েছেন বল হাতে। টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারিদের তালিকার সবার উপরে আছেন তিনি। ১৫ ম্যাচে হাত ঘুরিয়ে নিয়েছেন ২৩ টি উইকেট। বিপিএলের এক আসরে এটাই সর্বোচ্চ উইকেট নেওয়ার ঘটনা। বাঁহাতি স্পিনে মোট ৫৬ ওভার বল করে দারুণ ইকোনমি রেটে ওভারপ্রতি মাত্র ৭.২৫ রান খরচ করেছেন। এবারের আসরে ১৬ রানে চার উইকেট তাঁর সেরা বোলিং ফিগার। দল শিরোপা জিততে না পারলেও ব্যাট-বলে দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের স্বীকৃতি হিসেবে ‘প্লেয়ার অব দ্য টুর্নামেন্ট’ হয়েছেন ঢাকা ডায়নামাইটসের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান।
এবার নিয়ে তিনবার ফ্র্যাঞ্চাইজি আসরটির সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার ঘরে তুললেন সাকিব। পুরস্কার হিসেবে পাঁচ হাজার মার্কিন ডলার প্রাইজমানি ও একটি মোটরসাইকেল জিতেছেন তিনি। ২০১২ সালে বিপিএলের প্রথম আসরে সেরা খেলোয়াড় হয়েছিলেন সাকিব আল হাসান। তখন খুলনা রয়্যাল বেঙ্গলসে খেলতেন তিনি। ২০১৩ সালে পরের আসরে ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটরসে খেলা সাকিব টানা দ্বিতীয়বার টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হন। বিপিএলের বাদবাকি তিন আসরে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানসের আসরার জাইদি, খুলনা টাইটানসের মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ ও রংপুর রাইডার্সের ক্রিস গেইল হয়েছেন সেরা খেলোয়াড়।