আফ্রিকা জয়ের মিশনে সহজ গ্রুপে সালাহরা
আফ্রিকা মহাদেশের দলগুলোকে নিয়ে অনুষ্ঠিত হয় ‘আফ্রিকান নেশনস কাপ ফুটবল।’ আগামী ২২ জুন থেকে আবার মহাদেশীয় শ্রেষ্ঠত্বের এই লড়াই শুরু হতে যাচ্ছে। নেশনস কাপের ৩২তম এই আসরটা এবার বসছে মিসরে। আফ্রিকা অঞ্চলের মোট ২৪টি দেশকে নিয়ে শুরু হতে যাওয়া টুর্নামেন্টের ড্র পর্ব শেষ হয়েছে। এবারের আসরের আয়োজক ও লিভারপুলের তারকা ফুটবলার মোহাম্মেদ সালাহর মিশর পড়েছে তুলনামূলক সহজ গ্রুপে।
টুর্নামেন্টের প্রথম দিন স্বাগতিক মিসর খেলবে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে। ‘এ’ গ্রুপে এই দুটি দলের সঙ্গে আছে কঙ্গো ও উগান্ডা। টুর্নামেন্টের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ‘আফ্রিকার অদম্য সিংহ’ খ্যাত ক্যামেরুন রয়েছে ‘এফ’ গ্রুপে। ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নদের গ্রপে গিনি বিসাউ ও বেনিনের মতো সহজ প্রতিপক্ষ থাকলেও বড় হুমকি হিসেবে রয়েছে শক্তিশালী ঘানা।
তবে ‘গ্রুপ অব ডেথ’ হিসেবে আখ্যা পেয়েছে ‘ডি’ গ্রুপটা। দক্ষিণ আফ্রিকা ও নামিবিয়ার সঙ্গে গ্রুপের বাকি দুটো দল হচ্ছে মরক্কো এবং আইভরি কোস্ট। আফ্রিকার দলগুলোর মধ্যে ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে এগিয়ে থাকা দুটি দেশ মরক্কো আছে ৪৫ নম্বরে, আর আইভরি কোস্ট ৬৫ তে। তাই এই গ্রুপ থেকে পরের রাউন্ডে যাওয়াটা বেশ চ্যালেঞ্জিং হবে।
তবে আফ্রিকার দেশগুলোর মধ্যে ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে সবার চেয়ে উপরে আছে সেনেগাল। পুরস্কার হিসেবে তুলনামূলক সহজ গ্রুপ পেয়েছে আরেক লিভারপুল তারকা সাদিও মানের দেশ। ‘সি’ গ্রুপে তাদের প্রতিপক্ষ থাকছে আলজেরিয়া, কেনিয়া ও তানজানিয়া।
‘সুপার ঈগল’ খ্যাত নাইজেরিয়া খেলবে ‘বি’ গ্রুপে। গ্রুপের অন্য দলগুলো হচ্ছে বুরুন্ডি, মাদাগাস্কার ও গিনি। আর ‘ই’ গ্রুপে আছে অ্যাঙ্গোলা, মৌরিতানিয়া, মালি ও তিউনিসিয়া। ছয়টি গ্রুপ থেকে শীর্ষ দুটি করে দল নিয়ে মোট ১২টি দল যাবে নকআউট রাউন্ডে। এ ছাড়া ছয়টি গ্রুপ থেকে বাছাই করা হবে তৃতীয় স্থান পাওয়া সেরা চারটি দল। এই চারটি দলসহ ১৬টি দল খেলবে নকআউট পর্বে। এরপর আট দলের কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে নির্ধারিত হবে কারা খেলবে সেমিফাইনাল ও ফাইনাল।
লিভারপুলের বিশ্বমাতানো তারকা মোহাম্মেদ সালাহর ছোঁয়া এবং নিজ দেশের দর্শকদের সমর্থন নিয়ে নিজেদের আফ্রিকান শ্রেষ্ঠত্বের অন্যতম দাবিদার বলছে স্বাগতিক মিসর। এর আগে সাতবার আফ্রিকান নেশনস কাপের শিরোপা জেতা দলটি সর্বশেষ ২০১০ সালে মেতেছিল শ্রেষ্ঠত্বের উল্লাসে। এবার অষ্টম শিরোপা জয়ের মিশন শুরু করবে সালাহর দল।