বাংলাদেশের শিরোপার পথে বাধা যে মেয়েটি
![](https://ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2019/05/02/photo-1556791676.jpg)
গ্রুপ পর্বে বেশ গোছালো ফুটবল খেলেই ‘বঙ্গমাতা অনূর্ধ্ব-১৯ নারী আন্তর্জাতিক গোল্ডকাপ ২০১৯’ ফুটবলের সেমিফাইনালে উঠে বাংলাদেশের মেয়েরা। গ্রুপ পর্বে আক্রমণাত্মক ফুটবল খেললেও, পর্যাপ্ত গোল না পাওয়ায় কিছুটা শঙ্কা কাজ করে বাংলাদেশ শিবিরে। তবে সেমিতে অনেকটা হেসেখেলেই মঙ্গোলিয়াকে ৩-০ গোলে হারিয়ে ফাইনালে উঠে যায় তহুরা-মনিকারা। টুর্নামেন্টের শুরু থেকেই ফেভারিটের তকমা পাওয়া বাংলাদেশের মেয়েদের ফাইনালে লড়তে হবে লাওসের সঙ্গে। বেশ দাপটের সঙ্গে টুর্নামেন্টের ফাইনালে চলে আসা লাওসের একজন খেলোয়াড় ফাইনালে মাথাব্যথার কারণ হয়ে উঠতে পারেন বাংলাদেশের জন্য। লাওসের আট নম্বর জার্সিধারী অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার পি’কে ঠেকানোর জন্য তাই আলাদা পরিকল্পনা করছে টিম ম্যানেজমেন্ট।
বঙ্গমাতা গোল্ডকাপে মোট ১৮ গোল করেছে লাওসের মেয়েরা। নিজে আটটি গোল করার পাশাপাশি অন্যদের দিয়ে গোল করিয়েছেন পি। পুরো মাঠজুড়ে খেলতে অভ্যস্ত এই অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার মাঠে অবস্থান পরিবর্তন করেন খুব দ্রুত। তাই তাঁকে কড়া মার্কিংয়ে রাখা মুশকিল হয়ে যাচ্ছে প্রতিপক্ষের জন্য। তবে ফাইনালে তাঁকে আটকে রাখতে পারলে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ অর্ধেক নিজেদের হাতে চলে আসবে বলে মনে করে বাংলাদেশের টিম ম্যানেজমেন্ট।
লাওসের অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার পি যে বড় এক দুশ্চিন্তার কারণ সেটা স্বীকার করে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ নারী দলের কোচ গোলাম রব্বানী ছোটন সংবাদমাধ্যমে বলেন, ‘লাওসের অন্যতম চৌকস খেলোয়াড় হলো পি। শুরু থেকেই তাঁর খেলা চোখে পড়েছে। আমরা তাঁকে নিয়ে কিছুটা আতঙ্কের মধ্যে আছি। তবে তাকে কীভাবে থামানো যায়, সেই ছকও কোচিং স্টাফরা করে যাচ্ছে।’
তবে বাংলাদেশের মেয়েরাও পাল্টা আঘাত হানতে সক্ষম বলে মনে করেন কোচ ছোটন। আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলে লাওসকে চমকে দিতে চান জানিয়ে বলেন, ‘আমরা যদি পি’কে নিয়ে আতঙ্কের মধ্যে থাকি, তাহলে তাদেরও তো আমাদের সানজিদা-তহুরা-মার্জিয়াদের নিয়ে আতঙ্কে থাকা উচিত। আমাদের দলও ভালো খেলছে। প্রতিপক্ষের রক্ষণে মুহুর্মুহু আক্রমণ করে যাচ্ছে। যদিও আমরা কাঙ্ক্ষিত গোল কম পাচ্ছি। তবে ফাইনালে আশা করছি আগের ভুলগুলো আর হবে না।’
টুর্নামেন্টের শুরু থেকেই ফেভারিট তকমা বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলের মেয়েরা এখন ফাইনালে। শিরোপা জিততে কতটা আত্মবিশ্বাস আছে এমন প্রশ্নের জবাবে বাংলাদেশ কোচ বলেন, ‘দেখুন আমরা অনেক আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছি। প্রায় প্রত্যেক আসরেই প্রতিপক্ষ দলে এমন ভালো খেলোয়াড় থাকে, যারা ম্যাচের গতি পরিবর্তন করে দিতে পারে। তেমন দলের বিপক্ষে খেলেই কিন্তু আমরা সাফল্য পেয়েছি। আমরা জানি কীভাবে প্রতিপক্ষের খেলোয়াড়দের রুখতে হবে। সেভাবেই আমাদের মেয়েদের ফাইনালের জন্য তৈরি করা হচ্ছে। তাই এত ভয়ের কিছু নেই। নিজেদের খেলাটা খেলে আর সঠিক দায়িত্ব পালন করতে পারলে ট্রফি আসবেই।’
আগামীকাল শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টায় বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে ‘বঙ্গমাতা অনূর্ধ্ব-১৯ নারী আন্তর্জাতিক গোল্ডকাপ ২০১৯’ ফুটবলের ফাইনাল অনুষ্ঠিত হবে। ফাইনাল ম্যাচে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দিবেন মহামান্য রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ।