ভালোবাসার মায়ায় জড়ানো ডি মারিয়ার জন্মদিন আজ
![](https://ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2025/02/14/d_mariya.jpg)
অ্যাঞ্জেল ডি মারিয়াকে তুলনা করা যেতে পারে এঁটেল মাটির সঙ্গে। আঠার মতো লেগে থাকেন সবুজ ঘাসে। ভাঙবেন, তবু মচকাবেন না। ভাগ্য না কি সব সময় সাহসীদের পাশে থাকে। লোকে আবার বলে, সাহসীরাই ভাগ্যবান হন। শিরোপার কত কাছে গিয়ে আলোকবর্ষ দূর হতে প্রতিপক্ষকে উল্লাস করতে তো কম দেখেননি। বিশ্বকাপ, কোপা সবখানেই ফাইনালে হারার কান্নাকে রূপান্তর করেছেন আনন্দ অশ্রুতে। ওই যে, পরাজয়ে দরজায় খিল দিয়ে কাঁদতে পারেন সবাই। তবে, দরজা ভেঙে দরাজ কণ্ঠে নিজের অস্তিত্ব জানান দিতে পারাটাই আসল সাহসিকতা। এই আর্জেন্টিনা সেই সাহসীদের আঁতুরঘর। সেই ঘর দাঁড় করাতে লিওনেল স্কালোনি নামক কন্ট্রাক্টরের বড় কারিগর তো ডি মারিয়াই।
অ্যাঞ্জেল ফ্যাবিয়ান ডি মারিয়া হার্নান্দেজ–১৯৮৮ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি রোজারিওতে জন্ম। ভালোবাসা দিবসে জন্মেছেন বলে কি না কে জানে, উদযাপনে হার্টশেপকে প্রাধান্য দেন। তিনি যেমন সবাইকে ভালোবাসেন, তাকেও সবাই উজাড় করে দেয় প্রেমময় আবেগ। না দিয়ে অবশ্য উপায় নেই। সর্বজয়ী আর্জেন্টিনার ইতিহাসের অন্যতম অনুষঙ্গই তো তিনি।
ডি মারিয়ার ডাকনামটা বেশ মজার। ‘এল ফ্ল্যাকো’। বাংলা করলে যা অর্থ দাঁড়ায় ‘হাড্ডিসার’। দেখতে একেবারে কাঠির মতো মারিয়ার নামটা বোধহয় ঠিক আছে। সতীর্থরা অবশ্য আদর করে ডাকে ‘ফিদেও’ বলে। যার অর্থ নুডলস। নুডলসের মতো এঁকেবেঁকে সারা মাঠ চষে বেড়ান বলেই বোধহয় এমন নাম। আরেকটা নাম আছে। সেটি আনঅফিসিশিয়াল। কিন্তু, সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ– ‘ফাইনালম্যান’! আলবিসেলেস্তেদের সর্বজয়ী হয়ে ওঠার পেছনে তার পায়ের ভূমিকা অন্তত ফাইনালে অন্যদের চেয়ে বেশি। গত চার বছরে তিনটি শিরোপা জেতা দলটির প্রত্যেক ফাইনালে গোল দেওয়া একমাত্র নাম ডি মারিয়া। চতুর্থ ফাইনালে গোল পাননি, তবু তিনি ছিলেন আপন ছন্দে।
আর্জেন্টাইন ফুটবলে মেসি যদি সাগর হন, ডি মারিয়া ঢেউ। যে ঢেউয়ের তালে তালে গোটা সাগর উত্তাল হয়ে ওঠে। যাকে অস্বীকার করা অসম্ভব। অনুভব করতে হয় চোখ বুঝে। আর সৌন্দর্য অবলোকনে তাকিয়ে থাকতে হয় তন্ময় হয়ে।
আন্তর্জাতিক ফুটবল থেকে অবসর নেওয়া সেই ডি মারিয়া আজ পা রেখেছেন ৩৭ তম বসন্তে। জন্মদিনের শুভেচ্ছা ডি মারিয়া…