মরিনিয়োর সেলফি-বিতর্ক!
বিতর্ক আর জোসে মরিনিয়ো যেন সমার্থক শব্দ। কখনো সংবাদ সম্মেলনে উল্টাপাল্টা কথা বলে, কখনো বা মাঠের মধ্যেই অস্বাভাবিক আচরণ করে সংবাদ শিরোনামে উঠে আসেন চেলসির কোচ। এবার আরেকটি মরিনিয়ো-বিতর্ক।
কয়েকদিন আগে লন্ডনের রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলেন মরিনিয়ো। তাঁর ঠিক সামনে ছিল দুজন কিশোর। তাদেরই একজন মরিনিয়োর অজান্তে সেলফি তুলে নেয় তাঁর সঙ্গে। ছবিটি ছেপে ইংল্যান্ডের দ্য সান পত্রিকা লিখেছে, মরিনিয়ো নাকি সেই দুই কিশোরকে ছবি তোলার জন্য শাসিয়েছেন! তবে মরিনিয়ো এবং চেলসি কর্তৃপক্ষ পত্রিকাটির এমন দাবি উড়িয়েই দিয়েছেন।
চেলসির গণমাধ্যমবিষয়ক প্রধান কর্মকর্তা স্টিভ অ্যাটকিন্স এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, ‘সম্প্রতি মোবাইল ফোনে জোসের (মরিনিয়োর) ছবি তোলা সংক্রান্ত দুটো সংবাদ সম্পর্কে আমরা জানতে পেরেছি। আর সবার মতো জোসেও জনসম্মুখে ছবি তোলা সংক্রান্ত আইন ভালোমতোই জানেন। দুজন টিনএজার প্রায় ২০ মিনিট ধরে তাঁর বাসা থেকে তাঁকে অনুসরণ করেছে। তাঁর এবং ক্লাবেরও বিশ্বাস, এ ধরনের আচরণের কোনো যুক্তিসঙ্গত কারণ নেই।’
দ্য সানের দাবিকে উড়িয়ে দিয়ে অ্যাটকিন্সের মন্তব্য, ‘ভয়-ভীতি দেখানোর অভিযোগ সম্পর্কেও আমরা জানতে পেরেছি। জোসে এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তাঁর আইনি প্রতিনিধি ব্যাপারটা দেখছেন।’
পুরো ঘটনায় মরিনিয়ো ভীষণ ক্ষুব্ধ। শনিবার ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে ওয়েস্টহ্যাম ইউনাইটেডের মুখোমুখি হবে চেলসি। এই ম্যাচ উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলনে চেলসির স্বঘোষিত ‘স্পেশাল ওয়ান’ কোচ একহাত নিয়েছেন সংবাদ মাধ্যমকে। সাংবাদিকদের উদ্দেশে তিনি বলেছেন, ‘আমার সঙ্গে যেমন আচরণ করা হয়েছে, আপনাদের মালিকদের সঙ্গেও আমি একই আচরণ করব। তাঁদের কোনো রকম সম্মান দেখাব না। ফুটবল নিয়ে আমি যেকোনো ধরনের সমালোচনা শুনতে রাজি। এমনকি নির্বোধ সমালোচনা শুনতেও আমার আপত্তি নেই। তবে আমার ব্যক্তিগত জীবনের কোনো ঘটনা প্রকাশ্যে আসা আমি মোটেও পছন্দ করি না।’