আবার জেলে যাওয়ার শঙ্কা পিস্টোরিয়াসের
বান্ধবী রিভা স্টিনক্যাম্পকে হত্যার দায়ে পাঁচ বছরের কারাদণ্ডাদেশ হয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকার অ্যাথলেট অস্কার পিস্টোরিয়াসের। তবে এক বছর কারাভোগের পরই দুই সপ্তাহ আগে মুক্তি পেয়েছেন ‘ব্লেড রানার’ নামে পরিচিত এই শারীরিক প্রতিবন্ধী দৌড়বিদ। সাজার মেয়াদের বাকি সময় তাঁর গৃহবন্দী হয়ে কাটানোর কথা। তবে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করতে যাচ্ছেন দক্ষিণ আফ্রিকার আদালতে। যার ফলে আবারও কারাগারে যেতে হতে পারে পিস্টোরিয়াসকে। নতুন রায়ে সর্বনিম্ন ১৫ বছরের কারাদণ্ডাদেশও হতে পারে তাঁর।
২০১৩ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি নিজের বাসায় বান্ধবী স্টিনক্যাম্পকে গুলি করে হত্যা করেছিলেন পিস্টোরিয়াস। প্যারালিম্পিকে ছয়টি সোনাজয়ী এই অ্যাথলেট অবশ্য নিজেকে নির্দোষ বলে দাবি করেছিলেন। আদালতে বলেছিলেন, বাড়িতে অন্য কেউ ঢুকে পড়েছে এমন সন্দেহ থেকে তিনি গুলি চালিয়েছিলেন। আর তাতেই মারা যান স্টিনক্যাম্প।
তবে পিস্টোরিয়াসের এই দাবি ধোপে টেকেনি। তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করে পাঁচ বছরের কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকার আদালত। কিন্তু এই রায়ে সন্তুষ্ট নন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা। তাঁরা এটাকে বিবেচনা করছেন ‘বিস্ময়কর লঘু ও অনায্য শাস্তি’ হিসেবে। গত ১৯ অক্টোবর গৃহবন্দী থাকার শর্তে কারাগার থেকে ছাড়া পাওয়ার পর আর জনসমক্ষে দেখা যায়নি পিস্টোরিয়াসকে।
তবে এত সহজে হয়তো রেহাই পাবেন না পিস্টোরিয়াস। ব্লুমফন্টেইনের সুপ্রিম কোর্টে নতুন করে তাঁর বিরুদ্ধে আপিল করতে যাচ্ছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা। সেখানে তাঁরা এই যুক্তি উপস্থাপনের চেষ্টা করবেন যে, পিস্টোরিয়াস সজ্ঞানেই গুলি করে হত্যা করেছিলেন স্টিনক্যাম্পকে। পাঁচ সদস্যের একটি বিচারক প্যানেল দুই পক্ষের যুক্তিতর্ক শেষে নতুন রায় শোনাবেন।
কী ধরনের রায় দেওয়া হতে পারে তা এখনো বোঝা যাচ্ছে না বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে আদালত রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীদের আপিল আমলে নিয়ে পিস্টোরিয়াসকে দোষী সাব্যস্ত করলে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে আবার তাঁকে কারাগারে ফিরতে হবে বলে জানিয়েছেন অপরাধবিষয়ক আইনজীবী মার্টিন হুড।
২০১২ সালে প্রথম শারীরিক প্রতিবন্ধী অ্যাথলেট হিসেবে লন্ডন অলিম্পিকে অংশ নিয়ে ইতিহাস গড়েছিলেন পিস্টোরিয়াস। তার পরের বছরেই হত্যা মামলায় জড়িয়ে পড়েন তিনি।