আরেকটি হোয়াইটওয়াশের উল্লাস
গত বছরের সঙ্গে এ বছরের শেষটায় দারুণ মিল। দুবারই যে বাংলাদেশের হাতে জিম্বাবুয়ে হোয়াইটওয়াশ! সিরিজ জয় নিশ্চিত হয়েছিল আগেই। বুধবার তৃতীয় ও শেষ ম্যাচ ৬১ রানে জিতে ৩-০ ব্যবধানে সিরিজ জিতে নিয়েছে বাংলাদেশ। স্বাগতিকদের ৯ উইকেটে ২৭৬ রানের জবাবে ২১৫ রানে অলআউট হয়ে গেছে অতিথিরা। ৩৪ রানে ৫ উইকেট নিয়ে স্বাগতিকদের জয়ের অন্যতম নায়ক মুস্তাফিজুর রহমান।
urgentPhoto
টানা পাঁচটি ওয়ানডে সিরিজ জয় করা বাংলাদেশ এ বছর পাকিস্তানকেও হোয়াইটওয়াশ করেছে। আর ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়েছে ২-১ ব্যবধানে।
৭৩ রান করা তামিম ইকবালের হাতে উঠেছে ম্যাচের সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার। আর তিন ম্যাচে একটি শতকসহ ৫২ গড়ে ১৫৬ রান করা মুশফিকুর রহিম হয়েছেন সিরিজের সেরা খেলোয়াড়।
মিরপুর শেরেবাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ৪৭ রানে তিন উইকেট হারানোর পর প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করেছিলেন জিম্বাবুয়ের অধিনায়ক এল্টন চিগুম্বুরা, শন উইলিয়ামস ও ম্যালকম ওয়ালার। তবে বাংলাদেশের জয়ের সামনে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারেননি তাঁরা।
মুস্তাফিজুর রহমানের করা ইনিংসের প্রথম বলেই চার মেরেছিলেন চামু চিভাভা। তবে ‘প্রতিশোধ’ নিতে দেরি করেননি বাংলাদেশের তরুণ বাঁ-হাতি পেসার। পরের বলেই ছিটকে দিয়েছেন মিডল স্টাম্প। নিজের চতুর্থ ওভারে এবং ইনিংসের সপ্তম ওভারে অন্য ওপেনার রিজিস চাকাবভাকেও ফিরিয়ে দিয়েছেন মুস্তাফিজ। ১৭ রান করে নাসির হোসেনের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে গেছেন চাকাবভা। নবম ওভারে নাসির তুলে নিয়েছেন ক্রেইগ আর্ভিনের (২১) উইকেট।
চতুর্থ উইকেটে ৮০ রানের জুটি গড়ে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা চালিয়েছিলেন চিগুম্বুরা ও উইলিয়ামস। ২৩তম ওভারে এই জুটি ভাঙেন সাব্বির রহমান। বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফেরেন ৪৫ রান করা চিগুম্বুরা। উইলিয়ামস অবশ্য লড়াই চালিয়ে গেছেন আরো বেশ কিছুক্ষণ। পঞ্চম উইকেটে ম্যালকম ওয়ালারকে সঙ্গে নিয়ে ৫৯ রানের আরেক ভালো জুটি গড়েছেন তিনি। পরপর দুই ওভারে দুজনকেই আউট করেছেন আল আমিন ও মাশরাফি। ৩২ রান করে আল আমিনের বলে নাসিরকে ক্যাচ দিয়েছেন ওয়ালার। মাশরাফি ফিরিয়েছেন ৬৪ রান করা উইলিয়ামসকে।
এরপর মুস্তাফিজের তোপে জিম্বাবুয়ে বেশিক্ষণ টিকতে পারেনি। সিকান্দার রাজা (৯) আর লুক জংউইকে পরপর দুই বলে আউট করে হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনা জাগিয়েছিলেন মুস্তাফিজ। গ্রেম ক্রেমার তা ঠেকিয়ে দিলেও তিনাশে পানিয়াঙ্গারার (৩) ফিরতি ক্যাচ নিয়ে তৃতীয়বারের মতো ম্যাচে পাঁচ উইকেট শিকারের আনন্দে মেতে উঠেছেন এই প্রতিভাবান পেসার।
এর আগে মিরপুর শেরেবাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ১৪৭ রানের উদ্বোধনী জুটি গড়ে বাংলাদেশকে দারুণ সূচনা এনে দিয়েছিলেন তামিম ও ইমরুল কায়েস। কিন্তু দুজনেই ৭৩ রান করে সাজঘরে ফেরার পর হঠাৎ করেই পথ হারিয়েছিল স্বাগতিকরা। দুই উইকেটে ১৯০ থেকে বাংলাদেশের সংগ্রহ দাঁড়িয়েছিল ছয় উইকেটে ২২৬। তবে মাহমুদউল্লাহর অর্ধশতকে শেষ পর্যন্ত নয় উইকেটে ২৭৬ রান করেছে বাংলাদেশ।