শেষটাও রাঙিয়ে দিতে পারবে বাংলাদেশ?
২০১৫ সালটা দীর্ঘদিনই স্মরণীয় হয়ে থাকবে বাংলাদেশের ক্রিকেট অঙ্গনে। একের পর এক সাফল্যে ক্রমাগতই নিজেদের নতুন উচ্চতায় নিয়ে গেছে বাংলাদেশের ক্রিকেট। প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনাল খেলার ইতিহাস গড়ে যে বছরটি শুরু হয়েছিল, তার শেষটাও হতে পারে সাফল্যের নতুন মাইলফলক গড়ে। সে জন্য বাংলাদেশকে জিততে হবে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ ম্যাচটি। এই ম্যাচ জিতে সাফল্যমণ্ডিত একটা বছরের শেষটাও বাংলাদেশ বর্ণিলভাবে করতে পারবে কি না, সেটাই এখন ক্রিকেটপ্রেমীদের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে।
টেস্ট দলগুলোর বিপক্ষে বাংলাদেশ এখন পর্যন্ত সাতবার মেতে উঠতে পেরেছে হোয়াইটওয়াশ করার উল্লাসে। কিন্তু টি-টোয়েন্টিতে সেই অভিজ্ঞতা এখনো হয়নি বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের। সেই অনন্য অভিজ্ঞতার স্বাদ রোববারই পেয়ে যেতে পারেন মাশরাফি-মুশফিকরা। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দুই ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচটি দাপট দেখিয়েই জিতেছে বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ম্যাচেও তার পুনরাবৃত্তি করতে পারলে নতুন উচ্চতায় উঠে যাবে বাংলাদেশের ক্রিকেট।
সব দল মিলিয়ে হিসাব করলে বাংলাদেশের অবশ্য টি-টোয়েন্টিতে হোয়াইটওয়াশ করার অভিজ্ঞতা আগেই হয়েছে। ২০১২ সালের জুলাইয়ে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে বাংলাদেশ হারিয়েছিল আয়ারল্যান্ডকে। কিন্তু কোনো টেস্ট দলের বিপক্ষে এই সাফল্য এখনো অধরা আছে বাংলাদেশের। অনেক অর্জনের দুর্দান্ত এ বছরে হয়তো এই সাফল্যও পেয়ে যেতে পারেন বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা।
প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠার পর ঘরের মাটিতে ওয়ানডে সিরিজে বাংলাদেশ একের পর এক ধরাশায়ী করেছে পাকিস্তান, ভারত, দক্ষিণ আফ্রিকা ও জিম্বাবুয়েকে। সব মিলিয়ে এ বছর মোট ১৮টি ওয়ানডে খেলে জয় পেয়েছে ১৩টি ম্যাচে। সাফল্যের হার ৭২.২২ শতাংশ। এই হিসাবের বিবেচনায় বাংলাদেশের চেয়ে এগিয়ে আছে শুধু বিশ্বকাপজয়ী অস্ট্রেলিয়া। তাদের সাফল্যের হার ৭৫ শতাংশ।