বিপিএল চেনাল আবু হায়দার রনিকে
বিপিএল শুরুর আগে তাঁর নাম হয়তো খুব বেশি মানুষ জানতেন না। কিন্তু টুর্নামেন্ট শেষে অনেকেই উচ্চকিত প্রশংসা করেছেন ১৯ বছর বয়সী এক বাঁহাতি পেসারের। বলা হচ্ছে আবু হায়দার রনির কথা। দুর্দান্ত নৈপুণ্য দেখিয়ে অনেকেরই নজর কেড়েছেন এই প্রতিভাবান বোলার। আর নিজের সামর্থ্য প্রমাণের জন্য তিনি বেছে নিয়েছেন বাংলাদেশের ঘরোয়া টি-টোয়েন্টি প্রতিযোগিতা, বিপিএলকে। রনির মতো প্রতিভাবান তরুণ পেসারের সন্ধান পাওয়াকে সদ্য শেষ হওয়া বিপিএলের অন্যতম বড় প্রাপ্তিও বলা যেতে পারে।
আবু হায়দার রনি বিপিএলের শুরুটাই করেছিলেন দারুণভাবে। প্রথম দিনের দ্বিতীয় খেলায় বোল্ড করেছিলেন শ্রীলঙ্কার কিংবদন্তি ব্যাটসম্যান কুমার সাঙ্গাকারাকে। লেগ স্ট্যাম্প উপড়ে ফেলে মেতে উঠেছিলেন তীব্র উল্লাসে। এরপর কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানসের প্রায় প্রতিটি ম্যাচেই রনিকে দেখা গেছে বোলিং আক্রমণে নেতৃত্ব দিতে। ১২ ম্যাচে ২১ উইকেট নিয়ে বিপিএলের সর্বোচ্চ উইকেটশিকারিদের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে আছে রনির নাম। ২২ উইকেট নিয়ে শীর্ষস্থান দখল করেছেন কেভন কুপার।
তিন বছর আগে কাতারে অনুষ্ঠিত অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ খেলতে গিয়ে একবার পাঁচ উইকেট নিয়েছিলেন রনি। খেলা শুরু করেছিলেন প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটও। কিন্তু এবারের বিপিএল দিয়েই নিজেকে চিনিয়েছেন এই বাঁহাতি পেসার। বিপিএলের প্রথম কোয়ালিফায়ারে রংপুর রাইডার্সের ওপেনার লেন্ডল সিমন্সকে রনি যেভাবে বোল্ড করেছিলেন, তা অনেক দিনই মনে থাকবে ক্রিকেটপ্রেমীদের। দারুণ এক ইয়র্কারে পুরোপুরি বিধ্বস্ত করেছিলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের ডানহাতি ব্যাটসম্যানকে। ভারসাম্য না রাখতে পেরে হুমড়ি খেয়ে পড়েই গিয়েছিলেন সিমন্স। প্রায় প্রতি ম্যাচেই গুরুত্বপূর্ণ সময়ে দলকে ব্রেকথ্রু এনে দিয়েছেন রনি। বড় অবদান রেখেছেন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানসের শিরোপা জয়ের পেছনে।
বাঁহাতি পেসার হিসেবে এরই মধ্যে বৈশ্বিক অঙ্গনে তোলপাড় ফেলে দিয়েছেন মুস্তাফিজুর রহমান। প্রথম বাংলাদেশি ক্রিকেটার হিসেবে জায়গা করে নিয়েছেন আইসিসির বর্ষসেরা ওয়ানডে দলে। আবু হায়দার রনিও সেই পথে হাঁটতে পারবেন এমনটাই প্রত্যাশা বাংলাদেশের ক্রিকেটপ্রেমীদের।