মাঠে হেলমেট পরা আম্পায়ার!

টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের প্রভাবে দিন-দিন বাড়ছে আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ের প্রবণতা। বোলিং প্রান্তে দাঁড়ানো আম্পায়ারদের মাঝেমধ্যেই দেখা যায় প্রবল বেগে ধেয়ে আসা বলের আঘাত এড়ানোর মরিয়া চেষ্টা করতে। বড় ধরনের দুর্ঘটনা এড়ানোর জন্য আম্পায়ারদেরও সুরক্ষা নেওয়া উচিত-এমন কথাবার্তা এরই মধ্যে উঠতে শুরু করেছে ক্রিকেট বিশ্বে। অস্ট্রেলীয় আম্পায়ার জন ওয়ার্ড হয়তো সেই প্রথা শুরুও করে দিলেন। বুধবার ভারত-অস্ট্রেলিয়া ওয়ানডে সিরিজের চতুর্থ ম্যাচে হেলমেট পরে মাঠে নেমে একটা দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন তিনি।
ক্যানবেরার মানুকা ওভালে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ছিলেন অস্ট্রেলিয়ার দুই ওপেনার অ্যারন ফিঞ্চ ও ডেভিড ওয়ার্নার। তাঁদের আগ্রাসী মনোভাব দেখেই হয়তো খালি মাথায় উইকেটের পেছনে দাঁড়ানোর সাহস পাননি ওয়ার্ড। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রথমবারের মতো আম্পায়ারিং করেছেন হেলমেট মাথায় দিয়ে।
কিছু দিন আগেই আম্পায়ারিং করতে গিয়ে দুর্ঘটনায় পড়েছিলেন ওয়ার্ড। গত বছরের ১ ডিসেম্বর ভারতের রঞ্জি ট্রফির একটি ম্যাচে খেলা পরিচালনার সময় মাথায় আঘাত পেয়েছিলেন ৫৩ বছর বয়সী এই আম্পায়ার। চিকিৎসার জন্য হাসপাতালেও যেতে হয়েছিল তাঁকে। সেই দুঃসহ স্মৃতি এখনো টাটকা। তাই বোধহয় ওয়ার্ড কোনো ঝুঁকি নিতে চাননি।আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রথম হেলমেট পরা আম্পায়ার হিসেবে ওয়ার্ডের নামই লেখা হবে হয়তো। তবে প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটে এই ‘কীর্তি’ আগেই গড়েছেন আরেক অস্ট্রেলীয় জেরার্ড অ্যাবড। গত মাসে অস্ট্রেলিয়ার ঘরোয়া টি-টোয়েন্টি প্রতিযোগিতা বিগব্যাশ লিগে হেলমেট পরে আম্পায়ারিং করেছিলেন তিনি।
২০১৪ সালে ঘাড়ে বলের আঘাত পেয়ে মারা যান অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটসম্যান ফিলিপ হিউজ। এরপর থেকেই খেলোয়াড়দের নিরাপত্তা নিয়ে জোরোশোরে আলোচনা শুরু হয়। ব্যাটসম্যান এবং তাঁদের কাছে দাঁড়ানো ফিল্ডারদের জন্য হেলমেট পরা বাধ্যতামূলক করার চিন্তাভাবনা করছে ইংল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ড। আম্পায়ারদের জন্যও এ ধরনের নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা নেওয়ার চিন্তা-ভাবনা ধীরে-ধীরে উঁকি দিতে শুরু করেছে ক্রিকেটাঙ্গনে।