স্কয়ার ড্রাইভ
পার্থক্য গড়তে পারে দুই দলের বোলিং
প্রথম কোয়ার্টার ফাইনালে আমি দক্ষিণ আফ্রিকার সমর্থক। শক্তি-সামর্থ্যে শ্রীলঙ্কার চেয়ে দক্ষিণ আফ্রিকানদের এগিয়ে রাখব আমি। কিন্তু বিশ্বকাপের নক-আউট পর্বে প্রোটিয়াদের ভাগ্য তেমন ভালো না। ক্রিকেটের সেরা আসরে তারা আজ পর্যন্ত নক-আউট ম্যাচ জিততে পারেনি। আশা করি এবার তার ব্যতিক্রম হবে।
অন্যদিকে নক-আউট ম্যাচে শ্রীলঙ্কা বেশ সফল। ২০০৩ বিশ্বকাপ থেকে প্রত্যেকবার সেমিফাইনালে উঠেছে তারা। গত দুবার ফাইনালেও খেলেছে ১৯৯৬ বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়নরা।
কোয়ার্টার ফাইনালের মতো গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে কোনো দলকে আলাদাভাবে ফেভারিট বলা যাবে না। দুই দলের ব্যাটসম্যানরাই ভালো ফর্মে আছে। শ্রীলঙ্কার যেমন আছে কুমার সাঙ্গাকারা ও তিলকারত্নে দিলশান, তেমনি দক্ষিণ আফ্রিকার এবি ডি ভিলিয়ার্স ও হাশিম আমলা। তাই ব্যাটিংয়ে কোনো দলকেই এগিয়ে রাখতে পারছি না। অবশ্য শ্রীলঙ্কার বোলাররা তেমন ছন্দে নেই। অন্যদিকে দক্ষিণ আফ্রিকার পেসাররা বেশ ফর্মে আছে। এই ম্যাচে দুই দলের বোলিং আক্রমণ তাই পার্থক্য গড়ে দিতে পারে।
ব্যক্তিগত পারফরম্যান্সে সাঙ্গাকারার অবস্থান সবার ওপরে। এবারের বিশ্বকাপে তার পারফরম্যান্স এক কথায় অসাধারণ। আমি তার ব্যাটিং দেখে মুগ্ধ। বুধবারও সে জ্বলে উঠতে পারে।
আমার মতে এ মুহূর্তে সাঙ্গাকারাই বিশ্বের সেরা ব্যাটসম্যান। বিদায়ী বিশ্বকাপকে স্মরণীয় করে রাখতেই বোধহয় সে এতটা ভালো খেলছে। আরো কয়েক বছর সে অনায়াসে ওয়ানডে খেলতে পারত। টানা চার ম্যাচে সেঞ্চুরি করা সোজা কথা নয়। বিশ্বকাপে তো বটেই, ওয়ানডে ক্রিকেটেও এমন কীর্তি কারো নেই। সাঙ্গাকারা যে একজন ‘চ্যাম্পিয়ন’ ব্যাটসম্যান এবারের বিশ্বকাপে তা আরো ভালোভাবে প্রমাণ করেছে।
এই ম্যাচে টস গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হয়ে দাঁড়াতে পারে। আগে ব্যাট করা দলের ভালো করার সম্ভাবনা বেশি। সিডনির উইকেটে ২৭০/২৮০ রান ‘চেজ’ করা খুব কঠিন। তা ছাড়া দক্ষিণ আফ্রিকা রান তাড়া করায় বেশ দুর্বল। তাই শ্রীলঙ্কা আগে ব্যাট করে একটা ‘ফাইটিং’ স্কোর দাঁড় করাতে পারলে প্রোটিয়ারা সমস্যায় পড়তে পারে।
মিনহাজুল আবেদীন নান্নু : জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক এবং বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের নির্বাচক। বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দলের প্রথম ম্যান অব দ্য ম্যাচও তিনি।