বাফুফের নির্বাচনে দারুণ প্রতিদ্বন্দ্বিতার আভাস

বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) গত নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সভাপতি নির্বাচিত হয়েছিলেন সাবেক তারকা ফুটবলার কাজী সালাউদ্দিন। এবার আর তিনি সহজেই পার পাচ্ছেন না। তাঁর বিপক্ষে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নামছেন নরসিংদী-২ আসনের সংসদ সদস্য কামরুল আশরাফ খান।
শুধু তাই নয়, এবারের বাফুফের নির্বাচনে দুটি প্যানেল প্রত্যক্ষ লড়াইয়ে নামছে। দেশের ফুটবলে খুব একটা জৌলুস না থাকলেও নির্বাচনে দারুণ উত্তেজনা শুরু হয়েছে। দুটি প্যানেলে দেশের প্রথিতযশা ক্রীড়া সংগঠক এবং সাবেক তারকা ফুটবলাররা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নেমেছেন।
সালাউদ্দিনের প্যানেল থেকে সিনিয়র সহসভাপতি প্রার্থী হয়েছেন আরেক সাবেক তারকা ফুটবলার সালাম মুর্শেদী। আর সহসভাপিত প্রার্থী কাজী নাবিল আহমেদ, বাদল রায়, শামসুল হক চৌধুরী ও মহিউদ্দীন আহমেদ মহি।
এই প্যানেলের সদস্য প্রার্থী হারুনুর রশিদ, আমিরুল ইসলাম বাবু, সত্যজিৎ দাশ রূপু, ফজলুর রহমান বাবুল, ইলিয়াস হোসেন, সালেহ জামান সেলিম, শওকত আলী খান জাহাঙ্গীর ও মাহফুজা আক্তার কিরণ।
সালাহউদ্দিনের বিরোধী জোটের সিনিয়র সহসভাপতি প্রার্থী মনজুর কাদের। আর সহসভাপতি প্রার্থী আশরাফ উদ্দীন আহমেদ চুন্নু, দেওয়ান শফিউল আরেফীন টুটুল, লোকমান হোসেন ভূঁইয়া ও নজিব আহমেদ।
এই প্যানেলের সদস্য পদে প্রার্থী আব্দুল গাফফার, শেখ মোহাম্মদ আসলাম, আবু হাসান চৌধুরী প্রিন্স, কামরুন নাহার ডানা, নওশেরুজ্জামান, সৈয়দ রুম্মন বিন ওয়ালি সাব্বির ও কায়সার হামিদ।
আগামী ৩০ এপ্রিল বাফুফের নির্বাচন। এরই মধ্যে এই নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। ১৬ ও ১৭ এপ্রিল মনোনয়নপত্র বণ্টন করা হয়।
আর ১৮ এপ্রিল মনোনয়নপত্র গ্রহণ করা হবে। মনোনয়নপত্রের ওপর আপত্তি গ্রহণ ১৯ এপ্রিল। একই দিন মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইও করা হবে। ১৮ থেকে ২০ এপ্রিল মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করা যাবে।
২১ এপ্রিল বাফুফের নির্বাচন কমিশন চূড়ান্ত প্রার্থীর তালিকা প্রকাশ করবে। ৩০ এপ্রিল রাজধানীর রেডিসন ব্লু হোটেলে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।