মুগ্ধতা আর শঙ্কার দোলাচলে গার্দিওলা
কয়েক বছর আগেও স্প্যানিশ লা লিগার শিরোপা লড়াই সীমাবদ্ধ ছিল রিয়াল মাদ্রিদ ও বার্সেলোনার মধ্যে। তবে ২০১১ সালে ডিয়েগো সিমিওনে আতলেতিকো মাদ্রিদের কোচের দায়িত্ব নেওয়া পর স্পেনের ফুটবলাঙ্গনে আবির্ভাব হয়েছে ‘তৃতীয় শক্তি’র। রিয়াল-বার্সার চেয়ে অনেক কম বাজেটের দল গড়েও দুই পরাশক্তির সঙ্গে সমানে-সমানে পাল্লা দিয়ে চলেছে আতলেতিকো। সিমিওনের শিষ্যদের লড়াকু মানসিকতায় পেপ গার্দিওলা মুগ্ধ। আজ বুধবার রাতে চ্যাম্পিয়নস লিগ সেমিফাইনালের প্রথম লেগের লড়াইয়ের আগে প্রতিপক্ষ আতলেতিকোর প্রশংসায় মেতে উঠেছেন বায়ার্ন মিউনিখের কোচ।
সিমিওনের অধীনে আতলেতিকোর পারফরম্যান্স সত্যিই প্রশংসনীয়। দুই বছর আগে লা লিগা জয়ের পর চ্যাম্পিয়নস লিগে রানার্সআপ হয়েছিল মাদ্রিদের দলটি। ২০১২ সালে ইউরোপা লিগ আর উয়েফা সুপার কাপেও চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল তারা। এ মৌসুমেও আতলেতিকো দারুণ ছন্দে। লা লিগায় শীর্ষে থাকা বার্সেলোনার সমান পয়েন্ট নিয়ে (গোলগড়ে অবশ্য পিছিয়ে) শিরোপার আশা বাঁচিয়ে রেখেছে। আর কোয়ার্টার ফাইনালে বার্সাকে বিদায় করেই উঠে এসেছে চ্যাম্পিয়নস লিগের শেষ চারে।
আতলেতিকোর মাঠে লড়াইয়ে নামার আগে তাই গার্দিওলার কপালে দুশ্চিন্তার ভাঁজ। ম্যাচপূর্ব সংবাদ সম্মেলনে শঙ্কা একপাশে সরিয়ে রেখে প্রতিপক্ষের প্রশংসাতেও মেতে উঠেছেন বার্সেলোনার সাবেক ও বায়ার্নের বর্তমান কোচ, ‘আতলেতিকোর সেরা অর্জন নিঃসন্দেহে বার্সেলোনা ও রিয়াল মাদ্রিদের সঙ্গে তুলনায় চলে আসা। এটা সিমিওনেরও বিশাল অর্জন। তারা ধারাবাহিকতা ধরে রেখে এগিয়ে চলেছে। সবচেয়ে কঠিন কাজ হলো একটানা জয় পাওয়া। সাধারণত বড় দলগুলো তা পেয়ে থাকে। যে কোনো দলই এক বছর শিরোপা জিততেই পারে। কিন্তু ধারাবাহিকতা ধরে রেখে, ধারাবাহিকভাবে বছরের পর বছর সাফল্য পাওয়া খেলাধুলার জগতে ভীষণ কঠিন। আর সেটাই তারা অর্জন করেছে।’
কোয়ার্টার ফাইনালের ফিরতি লেগে মেসি-নেইমার-সুয়ারেজকে নিয়ে গড়া বার্সার দুর্ধর্ষ আক্রমণভাগকে সাফল্যের সঙ্গে ঠেকিয়ে দিয়েছিল আতলেতিকো। বায়ার্নের আক্রমণভাগও কম শক্তিশালী নয়। সিমিওনে অবশ্য আত্মবিশ্বাসী, ঘরের মাঠে প্রিয় শিষ্যরা হতাশ করবে না তাঁকে, ‘ভিন্ন বৈশিষ্ট্যের কারণে ওরা (বায়ার্ন) আরো শক্তিশালী দল। তবে কিসের জন্য খেলতে যাচ্ছি, আমাদের শুধু তা নিয়েই ভাবতে হবে। আমাদের সামনে এখন বিরাট সুযোগ। আমাদের একটা বিষয়েই মনোযোগ দিতে হবে। তা হলো জয়।’