বায়ার্নকে হারিয়ে আতলেতিকোর প্রতিশোধ
বায়ার্ন মিউনিখের দুর্দান্ত সাফল্য আর আতলেতিকো মাদ্রিদের দুর্ভাগ্য। দুটাই যেন একই সুতোয় গাঁথা। ১৯৭৪ সালের চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনালে আতলেতিকোকে হারিয়েই প্রথমবারের মতো শিরোপা জিতেছিল বায়ার্ন। তার পর থেকে মোট পাঁচবার ইউরোপসেরার মুকুট পড়েছে বাভারিয়ানরা। আর ৪২ বছর আগে সেই হারের পর এখনো চ্যাম্পিয়নস লিগের শিরোপা অধরা থেকে গেছে আতলেতিকোর। তবে এবারের মৌসুমে সেই হারের প্রতিশোধ নিয়েও নিতে পারে ডিয়েগো সিমিওনের শিষ্যরা। নিজেদের মাঠে প্রথম লেগের ম্যাচে ১-০ গোলের জয় দিয়ে ফাইনালের পথে একধাপ এগিয়ে গেছে আতলেতিকো।
ভিসেন্তে ক্যালদেরনে পুরো ম্যাচের বেশির ভাগ সময়ই বলের ছিল বায়ার্নের দখলে। প্রতিপক্ষের রক্ষণভাগে আক্রমণও বেশি চালিয়েছে পেপ গার্দিওলার শিষ্যরা। কিন্তু শুরুতেই একটি গোল হজম করে আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি বায়ার্ন। ১১ মিনিটের মাথায় অসাধারণ এক গোল করেছেন আতলেতিকোর তরুণ মিডফিল্ডার সাউল নিগুয়েজ। মাঝমাঠ থেকে বল পেয়ে বায়ার্নের চার-পাঁচজন ডিফেন্ডারকে ফাঁকি দিয়ে দারুণ দক্ষতায় বল জালে জড়িয়েছেন ২১ বছর বয়সী এই স্প্যানিশ ফুটবলার। ৭৫ মিনিটে ব্যবধান বাড়ানোর দারুণ সুযোগও পেয়েছিল আতলেতিকো। কিন্তু ফার্নান্দো তোরেসের শট ফিরে আসে গোলপোস্টে লেগে। পাঁচবারের শিরোপাজয়ী বায়ার্নের বিপক্ষে দারুণ এই জয়ের পর সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন আতলেতিকোর কোচ সিমিওনে। ম্যাচ শেষে তিনি বলেছেন, ‘দারুণ একটা ম্যাচ। সবাই নিজেদের প্রতি বিশ্বাস রেখে খেলেছে। আমরা সত্যিই অনেক পরিশ্রম করেছি।’
অন্যদিকে, বায়ার্নের কোচ গার্দিওলা মোটেও সন্তুষ্ট হতে পারছেন না শিষ্যদের পারফরম্যান্স নিয়ে। তিনি বলেছেন, ‘আমরা যেভাবে খেলেছি, তাতে আমি মোটেও সন্তুষ্ট নই। আমরা শুরুটা বাজেভাবে করেছি। গোলটা হজম করতে হয়েছে আমাদের ধীরগতির খেলার জন্য। আমরা একটা লড়াইয়েও জিততে পারিনি।’ এবারের মৌসুম শেষেই বায়ার্ন মিউনিখ ছেড়ে ম্যানচেস্টার সিটিতে যোগ দেবেন গার্দিওলা। তার আগে চ্যাম্পিয়নস লিগের শিরোপাটা খুব করেই জিততে চান এই স্প্যানিশ কোচ। কিন্তু সেমিফাইনালের প্রথম লেগেই হোঁচট খেতে হলো গার্দিওলাকে।
আগামী ৩ মে দ্বিতীয় লেগের ম্যাচে মুখোমুখি হবে বায়ার্ন ও আতলেতিকো। প্রথম লেগে হারের মুখ দেখলেও দ্বিতীয় লেগের ম্যাচটা নিজেদের মাঠে হবে বলে হয়তো মানসিকভাবে কিছুটা এগিয়েই থাকবে বায়ার্ন। তবে ম্যাচটি তাদের জিততে হবে ২ গোলের ব্যবধানে।