আবার বাফুফে সভাপতি সালাউদ্দিন
২০০৮ সালে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সভাপতি নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি। প্রথম মেয়াদের দায়িত্বে দেশের দুর্দশাগ্রস্ত ফুটবলকে কিছুটা সচল করে তখন বেশ প্রশংসা কুড়িয়েছিলেন সাবেক তারকা ফুটবলার কাজী সালাউদ্দিন। তারই ধারাবাহিকতায় ২০১২ সালে দ্বিতীয় মেয়াদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন তিনি।
তবে এবার তৃতীয় মেয়াদে সালাউদ্দিনকে কঠিন প্রতিদ্বন্দ্বিতার মুখোমুখি হতে হয়েছে। স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য কামরুল আশরাফ খান তাঁর বিপক্ষে লড়াইয়ে নেমেছিলেন। সেই লড়াইয়ে সালাউদ্দিনই জয়ী হয়েছেন।
১৩৪ ভোটের মধ্যে সাবেক এই তারকা ফুটবলার পেয়েছেন ৮৩ ভোট। আর তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী আশরাফ পেয়েছেন ৫০ ভোট। আর একটি বাতিল হয়েছে।
বাংলাদেশের কিংবদন্তি ফুটবলার সালাউদ্দিন সংগঠক হিসেবে দেশে-বিদেশে বেশ পরিচিত মুখ। দুই দফায় বাফুফে সভাপতির দায়িত্ব পালনের আগে ছিলেন সংস্থাটির সহ-সভাপতিও। ২০০৩ সালে প্রথম বাফুফের সহসভাপতি নির্বাচিত হন তিনি। সেই সময় তিনি জাতীয় দল ব্যবস্থাপনা কমিটির দায়িত্বেও ছিলেন। পরে কর্মকর্তাদের সঙ্গে দ্বন্দ্বে নিজেকে দূরে সরিয়ে নিলেও আবার সভাপতি নির্বাচিত হয়ে বাফুফেতে ফেরেন।
দেশের গণ্ডি ছাড়িয়ে সালাউদ্দিন আন্তর্জাতিক পর্যায়েও ফুটবলের সঙ্গে যুক্ত হন। দক্ষিণ এশিয়ান ফুটবল ফেডারেশনের (সাফ) টানা দুইবারের সভাপতি তিনি। বর্তমানেও এই দায়িত্বে রয়েছেন দেশের ফুটবলের সবচেয়ে বড় তারকা। তিনি ফিফার মার্কেটিং কমিটিরও সদস্য।
তাঁর সময়ে দেশের অচল ফুটবল কিছুটা সচল হলেও, পরে সালাউদ্দিন সমালোচনার মুখে পড়েন জাতীয় দল সাফল্য না পাওয়ায়। এ ছাড়া ফুটবলের হারানো জনপ্রিয়তা উদ্ধার করতে না পারায় এবারের নির্বাচনে কঠিন চাপের মুখে পড়তে হয়েছে তাঁকে।
এ ছাড়া সহসভাপতি পদে নির্বাচিত হয়েছেন কাজী নাবিল আহমেদ (৯২ ভোট), বাদল রায় (৭৩), মহিউদ্দিন মহি (৭২) ও তাবিথ আউয়াল (৬৬)। সালাউদ্দিন পরিষদের সহসভাপতি প্রার্থী সাংসদ সামশুল হক চৌধুরী এমপি নির্বাচিত হতে পারেননি। তাবিথ আউয়াল সহসভাপতি পদে পুনর্নির্বাচিত হয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে।