গর্বিত, উচ্ছ্বসিত রোনালদো
নিজের রেকর্ড ভাঙার হাতছানি ছিল তাঁর সামনে। সেজন্য ফাইনালে দুই গোল করতে হত ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোকে। চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে অনুজ্জ্বল রোনালদো নিজেকে আরেকটু উচ্চতায় নিয়ে যেতে পারেননি। তবে তাতে বিন্দুমাত্র অখুশি নন রিয়াল মাদ্রিদ তারকা। ক্যারিয়ারে তৃতীয়বারের মতো ইউরোপ শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট পরতে পেরে আনন্দে আত্মহারা তিনবারের ফিফা বর্ষসেরা ফুটবলার।
রোনালদো প্রথম চ্যাম্পিয়নস লিগ জয় করেছিলেন ২০০৮ সালে, ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের হয়ে। চেলসির বিপক্ষে ফাইনালে নির্ধারিত সময়ে গোল করলেও পরে টাইব্রেকারে অবশ্য সাফল্য পাননি। দুই বছর আগে রিয়ালের ‘দেসিমা’ বা দশম শিরোপা জয়ে বিশাল অবদান ছিল রোনালদোর। সেবার চ্যাম্পিয়নস লিগের এক মৌসুমে রেকর্ড ১৭টি গোলের কীর্তি গড়েছিলেন তিনি। ফাইনালে আতলেতিকো মাদ্রিদের বিপক্ষে রিয়ালের ৪-১ গোলের জয়ে শেষ গোলটি এসেছিল রোনালদোর পেনাল্টি থেকে। শনিবার রাতে সেই আতলেতিকোর বিপক্ষে টাইব্রেকারে দলের জয়সূচক গোলদাতাও তিনি। নির্ধারিত ও অতিরিক্ত সময় ১-১ গোলে অমীমাংসিত থাকার পর টাইব্রেকারে ৫-৩ গোলে জিতেছে রিয়াল।
আরো একবার ইউরোপ-সেরা হতে পেরে দারুণ খুশি রোনালদো। খেলাশেষে বার্তাসংস্থা এএফপিকে তিনি বলেছেন, ‘টাইব্রেকারে জিতে তৃতীয়বারের মতো চ্যাম্পিয়নস লিগের শিরোপা জিতলাম। সত্যিই, এটা একটা অবিশ্বাস্য রাত! আবারো প্রতিযোগিতার সর্বোচ্চ গোলদাতা হতে পেরে আমি গর্বিত। এই বিস্ময়কর ট্রফি জেতার জন্য এ মৌসুমে আমরা কঠোর পরিশ্রম করেছি। আমি আমার সব সতীর্থ, ভক্ত, পরিবারের সদস্য আর কোচকে নিয়ে গর্বিত।’
নিজের রেকর্ড ভাঙতে না পারলেও তা নিয়ে একটুও হতাশ নন রোনালদো, ‘এ নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো এক মৌসুমে ১৫টার বেশি গোল করলাম। যে ব্যক্তি এই প্রতিযোগিতায় এক মৌসুমে রেকর্ড গোল করেছে সে হল আমি। ২০১৪ সালে ১৭টা গোল করেছিলাম। আর এবার করেছি ১৬টা। টাইব্রেকারের গোলটা ধরলে ১৭টাই বলা যায়। এর চেয়ে বেশি আর কী চাইতে পারি?’
টাইব্রেকারে শেষ শট নেওয়ার আগের মুহূর্তগুলোও সবার সঙ্গে ভাগ করে নিয়েছেন রিয়ালের সবচেয়ে বড় তারকা, “গোল যে করতে পারব সে ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী ছিলাম। টাইব্রেকার শুরু হওয়ার আগে কোচ জিনেদিন জিদানকে বলেছিলাম, ‘আমাকে শেষ শট নিতে দিলে ভালো হয়। কারণ মনে হচ্ছে জয়সূচক গোলটা আমিই করব।’ আর শেষ পর্যন্ত সেটাই হয়েছে। জয়সূচক গোল করে আবার চ্যাম্পিয়নস লিগ জিততে পেরে আমি ভীষণ গর্বিত।”