‘মেসি একজন দৈত্য’
কয়েকদিন আগে লিওনেল মেসি জানিয়েছিলেন, শতবার্ষিকীর বিশেষ কোপা আমেরিকা জিততে তিনি মরিয়া। চোটের কারণে চিলির বিপক্ষে প্রথম ম্যাচ খেলতে পারেননি। তবে আজ শনিবার পানামার বিপক্ষে মাত্র ৩০ মিনিট খেলেই মেসি হ্যাটট্রিকের আনন্দে বিভোর। আর্জেন্টিনাকে ৫-০ গোলের বিশাল জয় আর কোয়ার্টার ফাইনাল উপহার দেওয়া বিশ্বের অন্যতম সেরা ফুটবলার নিজের পাশাপাশি দলের পারফরম্যান্সেও দারুণ খুশি।
প্রথমে বিশ্বকাপ ফাইনালে পরাজয়ের দুঃখ। তারপর কোপা আমেরিকার ফাইনালে একই রকম তিক্ত অভিজ্ঞতা। গত দুই বছরে দু-দুটি হতাশাজনক হার আর্জেন্টিনা-ভক্তরা ভুলতে পারবে না। মেসি তো নয়ই। বার্সেলোনার হয়ে তাঁর অজস্র সাফল্য, অথচ জাতীয় দলের জার্সিতে শুধুই হতাশা আর হতাশা। এবারের কোপা আমেরিকায় সব হতাশা দূর করতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ মেসি আজ মাঠে নেমেছেন ৬০ মিনিটের সময়। আর ৬৮ থেকে ৮৭ এই ১৯ মিনিটের মধ্যে করে ফেলেছেন তিনটি গোল। এর মধ্যে একটি গোল ছিল অসাধারণ ফ্রি-কিক থেকে। শেষ মুহূর্তে সার্জিও আগুয়েরোর শেষ গোলের নির্মাতাও মেসি।
কোমরের চোট কাটিয়ে মাঠে নেমেই এমন চমৎকার সাফল্যে মেসি উচ্ছ্বসিত। খেলাশেষে পাঁচবারের ফিফা বর্ষসেরা ফুটবলার বলেছেন, ‘আজ খেলতে পেরে আমি দারুণ খুশি। আমি সত্যিই খেলতে চেয়েছিলাম। ম্যাচের ফল আর গোলগুলো নিয়েও আমি আনন্দিত।’ এমন দুর্দান্ত জয়ের পর আরো একবার শিরোপা জয়ের বাসনা ধ্বনিত হয়েছে বার্সেলোনা তারকার কণ্ঠে, ‘শুরুতে কোমরে কিছুটা ব্যথা অনুভব করছিলাম। তবে কিছুক্ষণ পরই ব্যথাটা চলে যায়। আমি মনে করি আমরা সঠিক পথেই এগোচ্ছি। পথটা একটু-একটু করে মসৃণ হচ্ছে আমাদের জন্য।’
ম্যাচের আগের দিন মেসিকে নিয়ে দুশ্চিন্তার কথা জানিয়েছিলেন পানামার কোচ হার্নান দারিও গোমেজ। মেসি-জাদুতে বিধ্বস্ত হওয়ার পর তাঁর উপলব্ধি, ‘মেসি একজন দৈত্য। তিনি মাঠে নামার আগে ম্যাচে সমানে-সমানে লড়াই চলছিল। আসলে মেসি মাঠে থাকলে একটা ভুল করলেই আপনাকে তার মাশুল দিতে হবে।’