ফুটবলে ভিডিও প্রযুক্তি ব্যবহারের দাবি
অন্যান্য খেলা দিন-দিন প্রযুক্তির দিকে ঝুঁকে পড়লেও বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় খেলা ফুটবল এখনো এ ব্যাপারে উদাসীন। তার মাশুলও দিতে হচ্ছে প্রতিনিয়ত। বিশেষ কোপা আমেরিকায় ব্রাজিলের বিপক্ষে পেরুর রাউল রুইদিয়াজের হাত দিয়ে বিতর্কিত গোলের পর প্রযুক্তি ব্যবহারের দাবি জোরদার হয়েছে আরো। যুক্তরাষ্ট্রের কোচ ইয়ুর্গেন ক্লিনসমানও ফুটবলে প্রযুক্তি ব্যবহারের পক্ষে।
যুক্তরাষ্ট্রে বাস্কেটবল ও রাগবিতে সন্দেহজনক সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে ভিডিও রিপ্লের ব্যবহার শুরু হয়েছে বহুদিন। ক্রিকেটও তৃতীয় আম্পায়ার, ডিআরএস ব্যবহার করছে অনেকদিন। কিন্তু ফুটবল এ ব্যাপারে অনেক পিছিয়ে। চ্যাম্পিয়নস লিগ বা ইউরোপের কোনো কোনো লিগে গোললাইন প্রযুক্তি ব্যবহার করা হলেও আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় এখনো মাঠের রেফারির সিদ্ধান্তই শেষ কথা। প্রযুক্তি ব্যবহার না করায় রেফারির ভুল বা বিতর্কিত সিদ্ধান্ত প্রায়ই সমস্যা সৃষ্টি করে।
ক্লিনসমান এই সমস্যার সমাধান চাইছেন যত দ্রুত সম্ভব। ফেসবুকে এক প্রশ্নোত্তর পর্বে জার্মানির ১৯৯০ বিশ্বকাপজয়ী দলের সদস্য বলেছেন, ‘অবশ্যই আমাদের ভিডিও প্রযুক্তি ব্যবহার করা উচিত। গত রাতের হ্যান্ডবলের মতো গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে প্রযুক্তি ভীষণ প্রয়োজন। আপনি নিশ্চয়ই জানতে চাইবেন সেটা হ্যান্ডবল ছিল নাকি ছিল না।’
ক্রিকেটে সন্দেহজনক সিদ্ধান্ত নিতে মাঠের আম্পায়ার শরণাপন্ন হন টিভি আম্পায়ারের। ফুটবলেও তেমন উদ্যোগ নেওয়া যেতে পারে বলে মনে করেন ক্লিনসমান, ‘সাইডলাইনের বাইরে থাকা চতুর্থ রেফারিকে কেন অতিরিক্ত ১০ বা ১৫ সেকেন্ড দেওয়া হবে না? তিনি রিপ্লে দেখে দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন যে সেটা পেনাল্টি ছিল নাকি ছিল না কিংবা গোল ছিল নাকি ছিল না।’
যুক্তরাষ্ট্রের বাস্কেটবল আর রাগবি লিগের উদাহরণ টেনে জার্মানির সাবেক তারকা স্ট্রাইকারের যুক্তি, ‘আমার মনে হয় আমরা এনবিএ আর এনএফএল থেকে অন্তত ২০ বছর পিছিয়ে আছি। সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য রেফারিদের সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা দিতে হবে।’
ফুটবলে নিয়ম প্রবর্তনের দায়িত্বে থাকা ইন্টারন্যাশনাল ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন বোর্ড (আইএফএবি) গত মার্চে রেফারিকে সাহায্যের জন্য পরীক্ষামূলকভাবে প্রযুক্তি ব্যবহারের অনুমোদন দিয়েছিল। ফিফা প্রেসিডেন্ট জিয়ান্নি ইনফ্যান্তিনো জানিয়েছেন, ২০১৮ সালে রাশিয়া বিশ্বকাপে প্রযুক্তির ব্যবহার হতে পারে।