মেসির শিরোপা-মিশন
লিওনেল মেসির অর্জনের তালিকা বেশ অদ্ভুত। বার্সেলোনার হয়ে অজস্র শিরোপায় সমৃদ্ধ তাঁর ক্যারিয়ার। কিন্তু আর্জেন্টিনার জার্সি গায়ে মেসির অর্জনের হিসাব করতে বসলে বিস্মিত হতে হয়। ২০০৫ সালে যুব বিশ্বকাপ আর তার তিন বছর পর বেইজিং অলিম্পিকের শিরোপা ছাড়া বলার মতো কিছু নেই। বিশ্বকাপ আর কোপা আমেরিকায় সাফল্য বলতে রানার্সআপ হওয়া। মেসির মতো ফুটবলারের জন্য যা হতাশারই প্রতিশব্দ। বিশেষ কোপা আমেরিকায় তাই সব হতাশা, সব যন্ত্রণাকে পেছনে ফেলে শিরোপার আনন্দে মেতে ওঠার আশাবাদ মেসির কণ্ঠে।
অবশ্য শুধু মেসি নয়, আর্জেন্টিনাকেও বিশ্বকাপ আর কোপা আমেরিকা হতাশ করে যাচ্ছে দীর্ঘ ২৩ বছর ধরে। ১৯৯৩ কোপা আমেরিকার পর আর কোনো গুরুত্বপূর্ণ শিরোপা জিততে পারেনি তারা। ২০১৪ বিশ্বকাপ আর গত বছর কোপা আমেরিকার ফাইনালে উঠলেও সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছিল রানার্সআপ হয়ে।
এবার আর দ্বিতীয় নয়, প্রথম হওয়ার উৎসবে মেতে উঠতে চান মেসি। রোববারের ফাইনালে চিলিকে হারানোর ব্যাপারে আশাবাদী আর্জেন্টিনার অধিনায়ক, ‘টানা তিনটি টুর্নামেন্টের ফাইনালে ওঠা কম কথা নয়। আমি আশা করি এবার আমাদের মনোস্কামনা পূর্ণ হবে, আমরা কাপ জিততে পারব।’
গত বছর কোপা আমেরিকার ফাইনালে চিলির কাছে টাইব্রেকারে হেরে গিয়েছিল আর্জেন্টিনা। এবারও শিরোপাজয়ের লড়াইয়ে ‘আলবিসেলেস্তে’দের সামনে একই প্রতিপক্ষ। যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে সেমিফাইনালে দুর্দান্ত ফ্রিকিক থেকে গোল করে আর্জেন্টিনার পক্ষে সর্বোচ্চ গোলদাতার রেকর্ড নিজের করে নেওয়া মেসি জানিয়েছেন, ‘আপনি সব সময়ই কিছু না কিছু শিখবেন। ওই হারের পর আমরা আরেক বছর কাজ করেছি। দলগতভাবে আরো বেশি শক্তিশালী হয়েছি। আমরা সত্যিই অনেক পরিণত এখন।’