অপেক্ষার প্রহর শেষ হবে আর্জেন্টিনার?
আর্জেন্টিনা সর্বশেষ কোপা আমেরিকায় চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ১৯৯৩ সালে। লিওনেল মেসি তখন ছয় বছরের শিশু। ১৯৮৬ সালে বিশ্বকাপ জয়ের সময় তো মেসির জন্মই হয়নি। বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় দলটির সামনে হতাশা ঘোচানোর সুযোগ যে আসেনি, তা নয়। কিন্তু ফাইনালে উঠে হেরে যাওয়ার যন্ত্রণায় বিদ্ধ হতে হয়েছে গত দুই বছর। আবার মেসিদের সামনে সব হতাশা, সব যন্ত্রণা দূর করার সুযোগ। বাংলাদেশ সময় আগামীকাল ভোরে কোপা আমেরিকা শতবার্ষিকীর ফাইনালে আর্জেন্টিনার প্রতিপক্ষ চিলি। এবার শিরোপার আনন্দে মেতে উঠতে পারবে তো ‘আলবিসেলেস্তে’রা?
২০১৪ বিশ্বকাপ আর গত বছর কোপা আমেরিকার ফাইনালে উঠলেও শেষ হাসি হাসতে পারেনি আর্জেন্টিনা। বিশ্বকাপে অতিরিক্ত সময়ের গোলে হেরেছিল জার্মানির কাছে। আর কোপা আমেরিকায় স্বাগতিক চিলির কাছে হার মেনেছিল টাইব্রেকারে। ১০০ বছর উপলক্ষে বিশেষ কোপা আমেরিকার শিরোপা লড়াইয়েও আর্জেন্টাইনদের সামনে চিলি। মানে এক বছর আগের হারের প্রতিশোধের সুযোগ!
ছোটখাটো প্রতিশোধ অবশ্য এরই মধ্যে নিয়ে ফেলেছে আর্জেন্টিনা। গ্রুপপর্বে নিজেদের প্রথম ম্যাচে চিলিকে ২-১ গোলে হারিয়েছিল তারা। তবে পুরো প্রতিশোধের জন্য ফাইনালে জয় চাই বিখ্যাত আকাশী-সাদা জার্সিধারীদের।
বিশ্বকাপে ছিলেন না জেরার্দো মার্তিনো। তবে গত বছর আর্জেন্টিনার কোচ হিসেবে কোপা আমেরিকার ফাইনালে হারের যন্ত্রণা সইতে হয়েছিল তাঁকে। এবার আর ব্যর্থ হতে চান তিনি। ফাইনালে জিততে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ মার্তিনো বলেছেন, ‘এখন শুধু একটা বিষয়ই দুশ্চিন্তায় রেখেছে আমাদের। আর তা হলো কালকের ম্যাচে জয়। মানুষ তা চাইছে, খেলোয়াড়রা চাইছে, আমরা সবাই তা চাইছি। গত বছরের ফলাফলকে ঘুরিয়ে দেওয়ার জন্য আমাদের সর্বস্ব উজাড় করে দিতে হবে। আমাদের আরেকটি ফাইনালে হারা চলবে না। আর এটাই শেষ কথা।’
চোট কাটিয়ে ফিরে যথারীতি দুর্বার লিওনেল মেসি। টুর্নামেন্টে পাঁচ গোল করে আর্জেন্টিনার পক্ষে সর্বোচ্চ গোলদাতার রেকর্ড নিজের করে নিয়েছেন এই সময়ের সেরা ফুটবলার। মার্তিনোও দলের সবচেয়ে বড় তারকার প্রশংসায় পঞ্চমুখ, ‘সে একই সতীর্থদের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে খেলে যাচ্ছে। আর এটাই তাকে আনন্দে রাখছে। ব্রাজিল বিশ্বকাপ বা গত বছরের কোপা আমেরিকায় যেমন খেলেছিল, এখন ঠিক সেভাবেই সে খেলছে।’