গ্রিজম্যানের নৈপুণ্যে শেষ আটে ফ্রান্স
আন্তইন গ্রিজম্যানের বিরুদ্ধে ফরাসিদের অভিযোগ, আতলেতিকো মাদ্রিদের হয়ে তিনি যতটা উজ্জ্বল, জাতীয় দলের জার্সি গায়ে ততটা নন। এবারের ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে গ্রুপ পর্বে জ্বলে উঠতে না পারায় এই স্ট্রাইকারকে নিয়ে অভিযোগটা বেড়েই যাচ্ছিল। সব অভিযোগ-অপবাদ-সমালোচনাকে ধূলোয় মিশিয়ে সেই গ্রিজম্যানই এখন ফরাসিদের জয়ের নায়ক। রোববার তাঁর দুটো চমৎকার গোলেই পিছিয়ে পড়েও আয়ারল্যান্ডকে ২-১ ব্যবধানে হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে উঠে গেছে ফ্রান্স।
স্তাদে দে লিওঁতে খেলার শুরুতেই চমক। দ্বিতীয় মিনিটেই শেন লংকে বক্সের মধ্যে পল পগবা ফেলে দিলে বেজে ওঠে পেনাল্টির বাঁশি। রোবি ব্র্যাডি সুযোগটা কাজে লাগিয়ে এগিয়ে দিয়েছেন আইরিশদের।
পিছিয়ে পড়ে প্রতিপক্ষের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়লেও প্রথমার্ধে গোলের দেখা পায়নি ফ্রান্স। আয়ারল্যান্ডের ডিফেন্ডাররা ও বিশেষ করে গোলরক্ষক ড্যারেন র্যানডল্ফ বাধার প্রাচীর গড়ে দাঁড়িয়েছেন ‘লা ব্লুজ’-এর সামনে।
তবে বিরতির পর গোলপোস্ট অক্ষত রাখতে পারেনি আইরিশরা। দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকে আক্রমণের ঢেউ তুলে ৫৭ মিনিটে সমতায় ফিরেছে স্বাগতিকরা। ব্যাকারি স্যানিয়ার ক্রস থেকে দুর্দান্ত হেডে গোল করেছেন গ্রিজম্যান।
চার মিনিট পর আবার গ্রিজম্যানের সৌজন্যে ফরাসিদের উল্লাস। একটি লং বল ধরে অলিভিয়ার জিরুদ বাড়িয়েছিলেন এই স্ট্রাইকারের উদ্দেশে। বক্সের ভেতরে অরক্ষিত গ্রিজম্যানের গড়ানো শট র্যানডল্ফকে ফাঁকি দিয়ে জড়িয়ে গেছে জালে।
৬৬ মিনিটে আরেকটি ধাক্কা খেয়েছে আয়ারল্যান্ড। বক্সের ঠিক বাইরে গোল করতে উদ্যত গ্রিজম্যানকে মারাত্মক ফাউল করে লালকার্ড দেখেছেন শেন ডাফি।
প্রতিপক্ষ দশজনে পরিণত হওয়ার পর আক্রমণের ধার আরো বেড়ে গেছে ফরাসিদের। ৭৭ মিনিটে ব্যবধান ৩-১ হতে পারত। কিন্তু বদলি আন্দ্রে পিয়ের জিগন্যাকের প্রচেষ্টা পোস্টে বাধা পেয়ে হতাশ করেছে স্বাগতিকদের। বাকি সময়ে প্রাধান্য ধরে রাখলেও আর কোনো গোল পায়নি বিজয়ী দল।