‘হারলে দেশেই ফিরব না’
প্রথমবারের মতো ইউরোতে খেলতে এসেই শেষ ষোলোতে উঠে সবাইকে চমকে দিয়েছে আইসল্যান্ড। আজ রাতে কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে তাদের প্রতিপক্ষ ইংল্যান্ড। জিতলে খুবই ভালো, কিন্তু হেরে গেলে ইংল্যান্ডকে ঘিরে ধরবে একরাশ লজ্জা। ইংল্যান্ডের সমর্থকরাও ভালোমতোই জানে এ কথা। একজন তো ঠাট্টাচ্ছলে জানিয়েই দিয়েছেন, হেরে গেলে দেশেই ফিরবেন না আর!
ফুটবল ঐতিহ্যে ইংল্যান্ড আর আইসল্যান্ডের বিস্তর ব্যবধান। ইংল্যান্ডকে বলা হয় ফুটবলের আঁতুরঘর। অন্যদিকে বড় টুর্নামেন্টে খেলার সুযোগই হয় না আইসল্যান্ডের। বিশ্বকাপে আজ পর্যন্ত খেলতে পারেনি। ইউরোপের সেরা টুর্নামেন্ট ইউরোতে এই প্রথম এসেছে অনেক কাঠখড় পুড়িয়ে। এমন একটা দলের কাছে হার মেনে নেওয়া বোধহয় অসম্ভব ইংল্যান্ড ভক্তদের জন্য।
তাঁদেরই একজন গ্যারি উইলকিনসন কিছুটা মজা করে বলেছেন, ‘আজ হেরে গেলে আমি কখনো আইসল্যান্ডে যাব না। এমনকি দেশেই ফিরব না।’ তারপরই আত্মবিশ্বাসের সুরে তাঁর মন্তব্য, ‘অবশ্য এমন কোনো সম্ভাবনাই নেই। বেশ কয়েক বছরের মধ্যে এটাই আমাদের শিরোপা জয়ের সবচেয়ে ভালো সুযোগ। সম্প্রতি জার্মানিকে একটা প্রীতি ম্যাচে আমরা হারিয়েছি। আমাদের শুধু গোল করা শুরু করতে হবে।’
রন ফার্মার নামে আরেক ইংল্যান্ড ভক্তের মনে অবশ্য জয় নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই। তিনি বলেছেন, ‘আমরা শুরুতে গোল করব। তারপর ম্যাচটা উন্মুক্ত হয়ে যাবে আর গোল আসতে থাকবে। ওরা অতিরিক্ত রক্ষণাত্মক ফুটবল খেললেও ফলাফল ৩-০ কিংবা হয়তো ৩-১ হবে।’
আইসল্যান্ড সমর্থকরাও ছেড়ে কথা বলছে না। এইনার ওর্নাগুস্তাকসন নামের এক আইসল্যান্ডিকের প্রতিপক্ষের প্রতি হুঁশিয়ারি, ‘আমাদের ওপরে কোনো চাপ নেই। ইংল্যান্ডের মাথাগরম করার, আতঙ্কিত হওয়ার অভ্যাস আছে। আমরাই তাই জিততে যাচ্ছি। আর খেলা টাইব্রেকারে গেলে তো আমরা জিতবই। আমাদের গোলরক্ষক হালডোর্সোন প্রতি তিনটি পেনাল্টির একটি ঠেকিয়ে দিতে পারে। প্যারিসের কোয়ার্টার ফাইনালে ফ্রান্সের মুখোমুখি হবো আমরাই।’