ইংল্যান্ডকে হারিয়ে আইসল্যান্ডের ইতিহাস
ফুটবল ঐতিহ্যে দুদলের আকাশ-পাতাল ফারাক। ইংল্যান্ডকে বলা হয় ফুটবলের আঁতুরঘর। আর আইসল্যান্ড ইউরোপীয় ফুটবলে অনেক পিছিয়ে থাকা এক দেশ। বিশ্বকাপে কখনো খেলার সৌভাগ্য হয়নি। ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপেও এবারই প্রথম খেলার সুযোগ পেয়েছে তারা। আর প্রথমবারেই দুর্দান্ত সাফল্য। ইউরোর ইতিহাসে অন্যতম অঘটনের জন্ম দিয়ে ইংল্যান্ডকে হারিয়ে দিয়েছে আইসল্যান্ড। ‘রাউন্ড অব সিক্সটিন’ বা শেষ ষোলোর লড়াইয়ের শেষ ম্যাচের ফল ২-১। আগামী রোববার চতুর্থ ও শেষ কোয়ার্টার ফাইনালে তাই স্বাগতিক ফ্রান্সের প্রতিপক্ষ আইসল্যান্ড।
সোমবার রাতে নিসের আলিয়াঞ্জ রিভিয়েরায় খেলার শুরুতেই চমক। চতুর্থ মিনিটে বক্সের মধ্যে বিপজ্জনকভাবে ঢুকে পড়া রহিম স্টার্লিংকে ফেলে দিয়েছিলেন আইসল্যান্ডের গোলরক্ষক হান্নেস হালডোর্সোন। সঙ্গে সঙ্গে রেফারির পেনাল্টির বাঁশি। ওয়েইন রুনির লক্ষ্যভেদ স্বপ্নের সূচনা এনে দিয়েছে ইংল্যান্ডকে।
তবে এগিয়ে থাকার আনন্দ বেশিক্ষণ উপভোগ করতে পারেনি ইংলিশরা। দুই মিনিট পরই রাগনার সিগুর্ডসনের গোলে সমতায় ফিরেছে আইসল্যান্ড।
শুধু সমতায় ফেরেনি, ১৮ মিনিটের সময় এগিয়েও গেছে ছোট্ট দ্বীপদেশটি। বক্সের মধ্যে বল দেওয়া-নেওয়া করে ইংল্যান্ডকে বিভ্রান্ত করে দিয়েছিল আইসল্যান্ড। একসময় বল পেয়ে যান কোলবেইন সিগথর্সন। এই স্ট্রাইকারের নিচু শটে গোলরক্ষক জো হার্ট কোনোরকমে বলে হাত ছোঁয়ালেও গোল ঠেকাতে পারেননি।
পিছিয়ে পড়লেও সমতা ফেরানোর জন্য প্রচুর সময় হাতে ছিল ইংল্যান্ডের। কিন্তু অনেক চেষ্টা করেও আইসল্যান্ডের রক্ষণদুর্গ ভাঙতে পারেনি তারা; বরং বিরতির পর আইসল্যান্ডিকরা দুটো ভালো সুযোগ পেয়েছিল। তবে জো হার্টের দৃঢ়তায় ব্যবধান বাড়াতে পারেনি।
তাতে অবশ্য কোনো ক্ষতি হয়নি আইসল্যান্ডের। স্মরণীয় জয়ে ইতিহাস গড়ে তারা এখন কোয়ার্টার ফাইনালে। আর ইংল্যান্ড দলকে দেশে ফিরতে হচ্ছে একরাশ লজ্জা আর হতাশা নিয়ে।