অলিম্পিকে নেইমারে নির্ভরতা ব্রাজিলের
তথ্যটা একটু বিস্ময়কর। বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশি পাঁচবার চ্যাম্পিয়ন হলেও অলিম্পিকে এখনো শিরোপা জিততে পারেনি ব্রাজিল। পেলের দেশের এমন ব্যর্থতা ব্রাজিল-ভক্তদের হতাশ করে নিশ্চয়ই। এবারের অলিম্পিকের আয়োজক ব্রাজিলের রিও ডি জেনিরো। ঘরের মাঠে অতীত ব্যর্থতা ভুলে সাফল্যের স্বর্ণচূড়ায় উঠতে মরিয়া ‘সেলেসাও’রা। আর রিওতে স্বর্ণপদক জিততে ব্রাজিল তাকিয়ে দলের সবচেয়ে বড় তারকা নেইমারের দিকে।
ব্রাজিল যে অলিম্পিক ফুটবলের শিরোপা জিততে কতটা দৃঢ়প্রতিজ্ঞ, একটি তথ্য দিলেই তা পরিষ্কার বোঝা যাবে। অলিম্পিকের আগে কোপা আমেরিকা শতবার্ষিকীর জন্যও নেইমারকে দলে রাখতে চেয়েছিল তারা। কিন্তু এই তারকা ফরোয়ার্ডকে একটির বেশি টুর্নামেন্টের জন্য ছাড়তে রাজি হয়নি বার্সেলোনা। ব্রাজিল বেছে নিয়েছে অলিম্পিককে।
গত মাসে কোপা আমেরিকায় নেইমারকে না রাখার মাশুল ভালোমতোই দিতে হয়েছিল ব্রাজিলকে। গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায় নেওয়ার পর চাকরি হারিয়েছেন কোচ দুঙ্গা। তাঁর জায়গায় জাতীয় দলের কোচ হয়েছেন টিটে। আর অলিম্পিকের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে অনূর্ধ্ব-২০ দলের কোচ রজারিও মিকালেকে।
মিকালে অলিম্পিকের জন্য রণপরিকল্পনা সাজাচ্ছেন নেইমারকে ঘিরে। মঙ্গলবার দলের প্রথম প্র্যাকটিস শেষে সাংবাদিকদের তিনি বলেছেন, ‘আমি নেইমারের ওপরে নির্ভর করতে চাই। পৃথিবীতে এমন কোনো কোচ কি আছেন, যিনি তাঁর দলে নেইমারকে চাইবেন না? কেউ কেউ হয়তো বলবেন যে নেইমারের ওপরে নির্ভর না করাই ভালো। কিন্তু আমি তাঁদের সঙ্গে একমত হব না। আমি সব সময় নেইমারের মতো খেলোয়াড়কে দলে চাইব।’
মিকালের শেষ কথায় একটা প্রচ্ছন্ন ‘খোঁচা’ আছে। দ্বিতীয় দফা ব্রাজিলের কোচ হওয়ার পর দুঙ্গা বারবার বলেছিলেন, তিনি নেইমারের ওপরে অতিরিক্ত নির্ভর করতে চান না।
৫ আগস্ট থেকে অলিম্পিক শুরু হলেও ফুটবলের লড়াই শুরু হয়ে যাবে তার আগের দিন। প্রথম দিনেই ব্রাজিলকে খেলতে হবে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে। ‘এ’ গ্রুপে স্বাগতিকদের অন্য দুই প্রতিপক্ষ ডেনমার্ক ও ইরাক। ১৬টি দল চারটি গ্রুপে ভাগ হয়ে খেলবে অলিম্পিক ফুটবলে।