হুল্লোড়ে ভরা জীবন নিয়ে অকপট নেইমার
ফুটবল মাঠে তাঁর প্রতিভা নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই। তবে মাঠের বাইরে নেইমার একটু বেশিই ফুর্তিবাজ। পার্টি আর ক্লাবে গিয়ে হৈ-হুল্লোড় করতে ভীষণ ভালোবাসেন বার্সেলোনার ব্রাজিলিয়ান তারকা। এ নিয়ে তাঁর মনে কোনো খেদ নেই। স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিয়েছেন, সমালোচনা হলেও নিজেকে বদলানোর বিন্দুমাত্র ইচ্ছা নেই তাঁর।
অলিম্পিক ফুটবলে আজ পর্যন্ত স্বর্ণপদক জিততে পারেনি ব্রাজিল। এবার ঘরের মাঠে ব্যর্থতা ঘোচাতে ব্রাজিলিয়ানরা তাকিয়ে নেইমারের দিকে। সাফল্যের লক্ষ্যে রিও ডি জেনিরোর ঠিক বাইরে তেরেসপোলিসে নিবিড় অনুশীলনে ব্যস্ত পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা। গতকাল মঙ্গলবার সেখানে এক সংবাদ সম্মেলনে নিজের জীবন-যাপন নিয়ে নেইমারের মন্তব্য, ‘আমার বয়স ২৪ বছর। আমার মধ্যে দোষ-ত্রুটি আছে। আমি নিখুঁত নই। আমার ঘরের বাইরে গিয়ে বন্ধুদের সঙ্গে মজা করতে ভালোই লাগে। আমি কেন বাইরে গিয়ে পার্টি করব না? আমি তো এর মধ্যে কোনো দোষ দেখছি না।’
মাঠের পারফরম্যান্স ছেড়ে ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে মাতামাতি করায় নেইমার বরং বেশ বিরক্ত, ‘মাঠের ভেতর আমি সব সময় নিজেকে উজাড় করে দেই। ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে আমি তো কোনো সমস্যা দেখতে পাচ্ছি না।’
তবে সমালোচক বা নিন্দুকরা যে কথাই বলুক, নেইমারের ওপর অগাধ আস্থা রজারিও মিকালের। গত সপ্তাহে ব্রাজিলের অলিম্পিক কোচ দৃঢ়কণ্ঠে জানিয়েছিলেন, ‘আমি নেইমারের ওপর নির্ভর করতে চাই। পৃথিবীতে এমন কোনো কোচ কি আছেন যিনি তাঁর দলে নেইমারকে চাইবেন না?’
সংবাদ সম্মেলনে কোচ মিকালের নির্ভরতা নিয়ে প্রশ্ন রাখা হয়েছিল নেইমারের কাছে। জবাব দিতে গিয়ে বার্সেলোনা সতীর্থ লিওনেল মেসির উদাহরণ টেনে এনেছেন ব্রাজিল অধিনায়ক, ‘আমাদের তো অনেক দুর্দান্ত খেলোয়াড় আছে। তারপরও আমরা কেন মেসির ওপর নির্ভরতার কথা বলি? অবশ্যই আমরা তার ওপরে নির্ভর করি। আমরা সব সময় সেরা খেলোয়াড়ের ওপরেই নির্ভর করি।’
অলিম্পিকের ‘এ’ গ্রুপে ব্রাজিলের সঙ্গী ডেনমার্ক, দক্ষিণ আফ্রিকা ও ইরাক। ৪ আগস্ট স্বাগতিকদের প্রথম প্রতিপক্ষ দক্ষিণ আফ্রিকা।