সিরিজ জয়ের হাতছানি
সিরিজ জেতা বাংলাদেশের কাছে এখন আর আকাশকুসুম কল্পনা নয়। নিউজিল্যান্ড, ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও জিম্বাবুয়ের মতো দলের বিপক্ষে একাধিকবার সিরিজ জয়ের অভিজ্ঞতা রয়েছে। এবারের বিশ্বকাপের ফাইনালিস্ট নিউজিল্যান্ডকে তো হোয়াইটওয়াশ করেছিল দু-দুবার। অবশ্য এবার প্রতিপক্ষ পাকিস্তান দল বলে সিরিজ জয়ের আকাঙ্ক্ষাটা একটু বেশিই। ১৯৯৯ সালের বিশ্বকাপে এই দলটির বিপক্ষে প্রথম জয় পেয়েছিল বাংলাদেশ। দ্বিতীয়বার তাদের হারাতে অপেক্ষা করতে হয়েছে ১৬ বছর। সেই দলটির বিপক্ষে সিরিজ জয় থেকে এখন আর এক ম্যাচ দূরে বাংলাদেশ। রোববার মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে এই জয়ের লক্ষ্য নিয়ে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে পাকিস্তানের বিপক্ষে মাঠে নামবে বাংলাদেশ। বেলা আড়াইটায় শুরু হবে খেলা।
সিরিজের প্রথম ম্যাচে যে দাপুটে জয় তুলে নিয়েছে বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ম্যাচেও জয় পাওয়া অসম্ভব নয়, বাংলাদেশের খেলোয়াড়দের আত্মবিশ্বাসী চেহারা সেটাই বলে দিচ্ছে। শনিবার দুপুর ১২টায় দলীয় হোটেলে ‘টিম মিটিং’ শেষে যখন এক এক করে খেলোয়াড়রা বোর্ডরুম থেকে বেরিয়ে যাচ্ছিলেন, তাঁদের হাস্যোজ্জ্বল চেহারা জানান দিচ্ছিল মনোবল কতটা চাঙ্গা।
প্রথম ম্যাচে তামিম-মুশফিকের জোড়া সেঞ্চুরির পর, তাসকিন-আরাফাত সানির বোলিং তোপে বিশাল ব্যবধানে হেরেছে পাকিস্তান। সাবেক বিশ্বচ্যাম্পিয়ন দলটির অবস্থা যে খুব একটা ভালো নয়, তা বোঝাই যায় ম্যাচের আগে তাদের মিডিয়ার সামনে আসার অনাগ্রহ দেখে। উজ্জীবিত বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজে ফেরার পরিকল্পনা নিয়েই হয়তো ব্যস্ত তারা।
তবে এক ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা দলে ফিরছেন বলে বাংলাদেশ দলের আত্মবিশ্বাস আরো বাড়বে নিশ্চয়ই। দলের বোলিং আক্রমণের ধার আরো অনেকখানি বাড়বে। ভারতের বিপক্ষে বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে ধীরগতির ওভার রেটের কারণে এক ম্যাচের নিষেধাজ্ঞার শাস্তি পেয়েছিলেন মাশরাফি। তাই প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশ দলের নেতৃত্বে ছিলেন সাকিব আল হাসান।
তবে পাকিস্তানের জন্য আরেকটি বড় ধাক্কা চোটের কারণে তাদের ডানহাতি পেসার এহসান আদিলের দল থেকে ছিটকে পড়া। হ্যামস্ট্রিংয়ের চোটে পড়েন আদিল। তাঁর জায়গায় দলে নেওয়া হয়েছে উমর গুলকে। এই নিয়ে চার খেলোয়াড় পাকিস্তান দল থেকে ছিটকে পড়েন।
তারপরও পাকিস্তান দল বলে কথা, যে কোনো সময় ঘুরে দাঁড়ানোর ক্ষমতা রাখে তারা। তাই বাংলাদেশ অধিনায়কের প্রত্যাশা, খেলোয়াড়রা সাধ্যের সেরাটুকু দিয়েই খেলবে, ‘আমরা যদি সামর্থ্যের সেরাটা দিয়ে খেলতে পারি; আগের ভুল-ত্রুটিগুলো শোধরাতে পারি, জয় নিশ্চয় আমরাই পাব। তবে প্রতিপক্ষ দলও বসে থাকবে না। তাদেরও চেষ্টা থাকবে ম্যাচে ফিরতে। তাই এ ব্যাপারে আমাদের সতর্ক থাকতে হবে।’
তিন ম্যাচ সিরিজে ১-০-তে এগিয়ে থাকায় বাংলাদেশের জন্য বাড়তি আত্মবিশ্বাস। এই মনোবল খেলায় কতটুকু প্রতিফলন ঘটাবে, সেটাই এখন দেখার বিষয়।