১৯৯৯ বিশ্বকাপের জয়কেই এগিয়ে রাখছেন মাশরাফি
দীর্ঘ ১৬ বছরের অপেক্ষার পর পাকিস্তানের বিপক্ষে দ্বিতীয় ওয়ানডে জয়। এর পর সিরিজ জয়ের মধুর স্বাদ। একই সঙ্গে দুটি দারুণ অর্জন। বাংলাদেশ অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজার কাছে এই অর্জন ‘বিশেষ স্মরণীয়’। তবে ১৯৯৯ বিশ্বকাপে পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথম জয়টিকেই এগিয়ে রাখলেন তিনি।
রোববার মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে পাকিস্তানকে হারিয়ে ওয়ানডে সিরিজ জয় নিশ্চিত করার পর সংবাদ সম্মেলনে মাশরাফি বলেন, ‘এই সিরিজ জয় আমাদের কাছে অবশ্যই স্মরণীয় অর্জন। দীর্ঘ অপেক্ষার পর এমন দুর্দান্ত সাফল্য পেয়েছি আমরা। তবে ১৯৯৯ বিশ্বকাপের সেই জয় আমাদের ক্রিকেটের জন্য বেশি গুরুত্বপূর্ণ ছিল। কারণ, সে সময় ওই জয় ভীষণ প্রয়োজন ছিল আমাদের। তবে ২০০৭ বিশ্বকাপের সুপার এইটে ওঠা, নিউজিল্যান্ডকে হোয়াইটওয়াশ করা আর পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজ জয়কে আমি একই সারিতে রাখতে চাই।’
এক ম্যাচ হাতে রেখে বাংলাদেশ সিরিজ জিতে নিলেও পাকিস্তানকে মোটেও খাটো করে দেখছেন না মাশরাফি, ‘হয়তো অভিজ্ঞতায় পাকিস্তানের ব্যাটিং লাইনআপ আমাদের চেয়ে কিছুটা পিছিয়ে। তবে তাদের বোলিং আক্রমণ বিশ্বের অন্যতম সেরা। তাই পাকিস্তানের এই দলকে খাটো করে দেখার অবকাশ নেই। আমাদের দুদলের মধ্যে খুব বেশি পার্থক্যও নেই।’
এখন বাংলাদেশের লক্ষ্য শেষ ম্যাচটিও জেতা। মানে পাকিস্তানকে ‘হোয়াইটওয়াশ’ করা! এ ব্যাপারে বাংলাদেশ অধিনায়কের মন্তব্য, ‘টানা দুই ম্যাচে জয় পেয়েছি। পরের ম্যাচেও জয় ছাড়া অন্য কিছু ভাবছি না।’
রোববার প্রতিপক্ষকে ২৩৯ রানের মধ্যে বেঁধে ফেলার জন্য বোলারদের প্রশংসা করে মাশরাফি বলেন, ‘আমাদের বোলাররা খুব ভালো বল করেছে। তবে আরো উন্নতি করতে হবে আমাদের। বিশেষ করে আমাকে আর সাকিবকে পরের ম্যাচে আরো ভালো বল করতে হবে।’
বাংলাদেশের কাছে প্রথমবারের মতো সিরিজ হেরে ভীষণ হতাশ পাকিস্তানের নতুন ওয়ানডে অধিনায়ক আজহার আলী। সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘আজ আমাদের খুব হতাশার দিন। এভাবে হারার কথা ভাবতেই পারিনি। তবে বাংলাদেশ ভালো খেলেছে। এই সাফল্য তাদের প্রাপ্য। বিশেষ করে তামিম দারুণ ব্যাটিং করেছে। এই ব্যর্থতার দায় আমাদের সবাইকেই নিতে হবে। এর দায় আমিও নিচ্ছি।’