কাতার ছেড়ে এবার জাপানের দিকে বার্সেলোনা
মাঠের লড়াই, অর্থকড়ির হিসাব, সব দিক থেকেই ইউরোপের শীর্ষ ক্লাবগুলোর সঙ্গে পাল্লা দেয় বার্সেলোনা। স্পেনের অন্যতম সেরা এই ক্লাব কিছুটা পিছিয়ে ছিল জার্সি স্পন্সরশিপের ক্ষেত্রে। এবার সেখানেও দ্রুতগতিতে এগিয়ে যাচ্ছে কাতালানরা। কাতার ফাউন্ডেশনের পর বার্সেলোনা নতুন স্পন্সরশিপ চুক্তি করেছে জাপানের শীর্ষ প্রযুক্তিবিষয়ক প্রতিষ্ঠান রাকুতেনের সঙ্গে। পাঁচ বছর মেয়াদি এই চুক্তির ফলে দ্রুতই বার্সেলোনা চলে আসবে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড, রিয়াল মাদ্রিদদের কাতারে।
ইউরোপের প্রায় সব শীর্ষ ক্লাবই মোটা অঙ্কের বিনিময়ে তাদের জার্সিতে স্থান দেয় স্পন্সরদের লোগো। কিন্তু এ ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম ছিল বার্সেলোনা। ২০০৬ সালের আগে বার্সেলোনার জার্সিতে কখনোই দেখা যায়নি কোনো স্পন্সরের লোগো। ২০০৬ থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত বার্সার জার্সিতে দেখা গেছে ইউনিসেফের লোগো। সেটা অবশ্য ছিল অবাণিজ্যিক একটা চুক্তি।
বার্সেলোনা তাদের প্রথম বাণিজ্যিক চুক্তিটি করে ২০১০ সালে কাতার ফাউন্ডেশনের সঙ্গে। পাঁচ বছর মেয়াদি এই চুক্তিতে বার্সা প্রতি বছর আয় করে ৩০ মিলিয়ন ইউরো। বিনিময়ে মেসি-নেইমার-পিকের মতো তারকাদের জার্সিতে প্রদর্শিত হয় কাতার ফাউন্ডেশনের লোগো। ২০১০ সালে এটাই ছিল ফুটবল অঙ্গনের সবচেয়ে লোভনীয় জার্সি স্পন্সরশিপ।
এই চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার পর পরই বার্সেলোনা নতুন চুক্তি করেছে জাপানি ইন্টারনেট প্রযুক্তিবিষয়ক কোম্পানি রাকুতেনের সঙ্গে। এই চুক্তিটির মেয়াদ শুরু হবে ২০১৭-১৮ মৌসুম থেকে। চার বছরের এই চুক্তি অনুযায়ী বার্সেলোনা প্রতি বছর পাবে প্রায় ৬০ মিলিয়ন ডলার। এ ছাড়া লা লিগা শিরোপা জিতলে দেড় মিলিয়ন ইউরো এবং ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নস লিগ জিতলে পাবে অতিরিক্ত পাঁচ মিলিয়ন ইউরো। চুক্তিটি পঞ্চম মৌসুম পর্যন্ত বর্ধিত করার সম্ভাবনাও আছে। বার্সেলোনার সভাপতি জোসেফ বার্তোমোউ গণমাধ্যমকে বলেন, ‘এই চুক্তিটি ক্লাব স্পন্সরশিপের ক্ষেত্রে বার্সেলোনাকে সামনের সারিতে নিয়ে যাবে।’
আমেরিকান শীর্ষ ক্রীড়া সামগ্রী নির্মাতা নাইকির সাথে করা নতুন চুক্তিটি ২০১৮ সাল থেকে কার্যকর হলে বার্সেলোনা ছাড়িয়ে যাবে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডকেও। ম্যানইউ এখন প্রতি মৌসুমে অ্যাডিডাসের সাথে করা চুক্তি অনুযায়ী প্রায় ৯৪ মিলিয়ন ডলার আয় করে। আর নাইকির সঙ্গে ১০ বছর মেয়াদি চুক্তি অনুযায়ী বার্সেলোনা প্রতি মৌসুমে প্রায় আয় করবে ১৬৬ মিলিয়ন ডলার।