অন্যরকম এক জন্মদিন কাটালেন মেসি
ঢেঁকি নাকি স্বর্গে গেলেও ধান ভানে! লিওনেল মেসির ৩৬তম জন্মদিন ছিল গতকাল শনিবার (২৪ জুন)। বিশ্বজুড়ে ভক্তরা উদযাপন করেছে তাদের জাদুকরের জন্মদিন। ক্ষুদে জাদুকরের জন্মদিনে ভক্তদের মনে ছিল উৎসবের আবহ। প্রিয় তারকা যে এবার বিশ্বকাপ এনে দিয়েছেন সবাইকে। জন্মদিনটা নিজে কীভাবে কাটিয়েছেন মেসি? ওই যে ঢেঁকির মতোই! মাঠে নামলেন, ৪৫ মিনিট খেললেন, তিনটি গোল করলেন।
মেসির সাবেক সতীর্থ ও সাবেক আর্জেন্টাইন মিডফিল্ডার ম্যাক্সি রদ্রিগেজের বিদায়ী ম্যাচ ছিল গতকাল। ম্যাক্সি খেলতেন আর্জেন্টিনার ক্লাব নিউয়েল’স ওল্ড বয়েজে। যে ক্লাবে ছোটবেলায় খেলেছিলেন মেসি, খেলেছিলেন দিয়াগো ম্যারাডোনা। বন্ধু ম্যাক্সির বিদায়ী ম্যাচ, সেটি আবার নিজ শহরে, নিজ ক্লাবে। মেসি সেখানে থাকবেন না, তা হয় নাকি!
নিউয়েল’স লিজেন্ডস বনাম আর্জেন্টিনা গ্রেটসের ম্যাচে খেলা ছাপিয়ে সেটি হয়ে উঠেছিল মিলনমেলা। রোজারিওর এস্তাদিও মার্সেলো বিয়েলসা স্টেডিয়ামে দুই দলের সবার জার্সির পেছনে ম্যাক্সির ১১ নম্বর জার্সি, তার নাম ও ছবি ছিল। মাঠে নেমেছেন গ্যাব্রিয়েল বাতিস্তুতা, আর্জেন্টিনা কোচ লিওনেল স্কালোনি। এমনকি নিউয়েলসের নারী ফুটবলাররাও নেমেছেন মাঠে।
ম্যাচের চতুর্থ মিনিটেই ফ্রিকিক থেকে গোল করেন মেসি। ৩৫ মিনিটে গোলরক্ষকের মাথার ওপর দিয়ে লব শটে বল জালে জড়ান। গোল খেয়ে উল্টো মেসিকে জড়িয়ে ধরেন বিপক্ষ গোলরক্ষক। যেন মেসির বিপক্ষে এমন গোল খাওয়াতেও প্রশান্তি। প্রথমার্ধের ৪৩ মিনিটে তৃতীয় ও হ্যাটট্রিক গোলটি করেন মেসি। প্রথমে বল বুকে নেন, তারপর দারুণ এক ভলিতে লক্ষ্যভেদ করেন।
প্রথমার্ধের পর আর মাঠে নামেননি মেসি। ক্ষুদে জাদুকরের প্রতিটি গোলে নিজ দল ও বিপক্ষের সবাই আনন্দিত হয়েছে। গ্যালারির ৪২ হাজার দর্শকের সবাই আর্জেন্টাইন। মেসির প্রতি গোলে তাই উল্লাসের জোয়ার উঠেছে মার্সেলো বিয়েলসা স্টেডিয়ামের প্রতি কোণায়। জন্মদিনেও ভক্তদের বঞ্চিত করেননি নিজের জাদু থেকে। জাদুকর তো তাকে এমনি এমনি বলা হয় না।