পেস বোলিংয়ে বৈচিত্র্য দেখবে বাংলাদেশ
বাংলাদেশের বোলিং আক্রমণ মানেই স্পিন, এমনটিই হয়ে এসেছে এতদিন। সাকিব আল হাসান, মেহেদী হাসান মিরাজ, তাইজুল ইসলামরা আস্থার প্রতিদান দিয়ে এসেছেন। তবে, অ্যালান ডোনাল্ড পেস বোলিং কোচ হয়ে আসার পর বদলে গেছে বাংলাদেশের বোলিংয়ের চিত্র।
সাকিব-তাইজুলদের পাশাপাশি এখন পেসাররা হয়ে উঠছেন দলের অন্যতম প্রধান অস্ত্র। মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা চলে যাবার পর যে শঙ্কা তৈরি হয়েছিল পেস আক্রমণ নিয়ে, সেটি এখন নেই বললেই চলে। মাশরাফীর নিজ হাতে গড়ে তোলা তাসকিন আহমেদ এখন বাংলাদেশের পেস ইউনিটের নেতা।
তাসকিনের সঙ্গে মুস্তাফিজুর রহমান, ইবাদত হোসেন, শরীফুল ইসলাম, হাসান মাহমুদ— তারুণ্যনির্ভর এমন পেস ইউনিট এখন যে কোনো দলের জন্যই বিপদ। দেশ ও দেশের বাইরে, সব কন্ডিশনে আগুন ঝরাতে পারেন বাংলাদেশের পেসাররা।
চলতি বছর এখন পর্যন্ত রঙিন পোশাকে পেসাররা আছেন দুর্দান্ত ছন্দে। ঘরের মাটিতে ইংল্যান্ড, আয়ারল্যান্ডকে সিরিজ হারানোর পর ইংল্যান্ডে গিয়ে ইংলিশ কন্ডিশনে ফের আইরিশদের হারিয়ে আসায় সামনে থেকে অবদান রাখা; সবমিলিয়ে পেসারদের নিয়ে তৈরি হয়েছে অন্যরকম প্রত্যাশা।
আজ বুধবার (৫ জুলাই) থেকে চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে মাঠে গড়াবে বাংলাদেশ-আফগানিস্তান সিরিজের প্রথম ওয়ানডে। তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে পেসারদের দিকে সবার আলাদা নজর থাকবে।
ম্যাচ পূর্ববর্তী সংবাদ সম্মেলনে মঙ্গলবার (৪ জুন) বাংলাদেশ অধিনায়ক তামিম ইকবাল জানান, ‘তিন ম্যাচে তিন রকম পেস বোলিং কম্বিনেশন দেখবে বাংলাদেশ।’ অর্থাৎ, পেসারদের নিয়ে এই সিরিজে এক্সপেরিমেন্ট করতে যাচ্ছে চন্ডিকা হাথুরুসিংহের দল।
সামনে বিশ্বকাপ। পেসাররা নিজেদের তৈরি করছেন সেভাবে। বড় মঞ্চে মাঠে নামার আগে নিজেদের ঝালিয়ে নেওয়ার এমন সুযোগ হাতছাড়া করতে চাইবে না পেসাররা। দলও চাইবে পেসাররা নিজেদের সেরাটাই উজাড় করে দিক।