আশা জাগিয়েও ভারতের কাছে হারল বাংলাদেশ
ক্রিকট মোমেন্টামের খেলা। ম্যাচ জিততে হলে মোমেন্টাম ধরা রাখাটা গুরুত্বপূর্ণ। আশা জাগিয়েও সেই কাজটাই শেষমেশ করতে পারল না বাংলাদেশ। অল্প কিছু রানের আক্ষেপ নিয়েই ভারতের কাছে টি-টোয়েন্টি সিরিজ হারল স্বাগতিক বাংলাদেশ।
আজ মঙ্গলবার (১১ জুলাই) মিরপুর শেরেবাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ৮ উইকেট হারিয়ে স্কোরবোর্ডে ৯৫ রানের বেশি তুলতে পারেনি ভারত। জবাবে ২০ ওভার সব উইকেটে হারিয়ে ৮৭ রানের বেশি তুলতে পারেনি স্বাগতিকরা। ৮ রানের জয়ে ২-০ ব্যবধানে সিরিজ নিজেদের করে নিল সফরকারী ভারত।
৯৬ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে শুরুটা ভালো হয়নি বাংলাদেশের। দলীয় ১০ রানের মাথায় প্রথম উইকেট হারায় স্বাগতিকরা। মিন্নু মানির বলে শেফালীর হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন শামিমা সুলতানা। ৪ বলে ৫ রান আসে তার ব্যাট থেকে।
প্রথম উইকেটের পর দ্বিতীয় উইকেট হারাতেও খুব বেশি সময় লাগেনি স্বাগতিকদের। এবার ফিরে যান আরেক ওপেনার সাথী রানী। ৬ বলে ৫ করে সাঘরের পথ ধরেন তিনি। দ্রুত দুই উইকেট হারিয়ে বড়সড় চাপে পড়ে বাংলাদেশ। সেই চাপ আরও বাড়ে মুর্শিদার বিদায়ে। দলীয় ২৩ রানের আনুশার বলে বোল্ড হন এই ব্যাটার।
মুর্শিদার পর সাজঘরের পথ ধরতে খুব বেশি দেরি করেননি রিতু মনির। মিন্নু বলে এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়েন তিনি। ৬ বলে ৪ রানের বেশি করতে পারেননি তিনি। এরপর স্বর্না আক্তারকে নিয়ে জুটি গড়েন অধিনায়ক নিগার সুলতানা। এই দুইজনের ৩৪ রানের জুটিতে জয়ের আশা জাগায় বাংলাদেশ। তবে দলীয় ৬৪ রানে স্বর্নার বিদায়ে বড় ধাক্কা খায় স্বাগতিকরা।
এরপর নাহিদা-রাবেয়াদের নিয়ে চাপ সামল দেওয়ার চেষ্টা করেন নিগার। তাতেও খুব বেশি লাভ হয়নি। কারণ তাকে সঙ্গ দিতে পারেনি কোনো ব্যাটার। এমন পরিস্থিতির মধ্যেও বাংলাদেশের আশার আলো হয়ে ছিলেন অধিনায়ক নিগার। ৫৫ বলে ৩৮ রানের ইনিংস খেলে দলীয় ৮৬ রানে আউট হন নিগার। এরপর শেষ ওভারে জয়ের জন্য ১০ রান প্রয়োজন হলেও, তা তুলতে ব্যর্থ হন মারুফা-সুলতানারা। ৮৭ রানে থামতে হয় বাংলাদেশকে।
এর আগে ভারতের দুই ওপেনার স্মৃতি মান্দানা ও শেফালী বার্মা ব্যাট হাতে ভালো শুরু করেন। এই দুই ওপেনার মিলে গড়েন ৩৩ রানের জুটি। নাহিদার বলে বোল্ড হয়ে মান্দানা ফিরলে ভাঙে এই জুটি। ১৩ বলে ১৩ করে সাজঘরে ফেরেন স্মৃতি। প্রথম উইকেটের পর দ্বিতীয় ও তৃতীয় উইকেট পেতেও খুব বেশি সমস্যা হয়নি বাংলাদেশের।
ওই দলীয় ৩৩ রানের মাথায় আরও দুই ব্যাটারকে ফেরায় বাংলাদেশের বোলাররা। ফেরেন আরেক ওপেনার শেফালী। ১৪ বলে ১৯ রান করেন তিনি। অধিনায়ক হারমাপ্রীত কৌর রানের খাতাই খুলতে পারেননি। সুলতানা খাতুনের বলে বোল্ড হন তিনি।
এরপর বাংলাদেশের বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে সংগ্রহটা বড় করতে পারেনি সফরকারীরা। শেষপর্যন্ত ৮ উইকেট হারিয়ে স্কোরবোর্ডে ৯৫ রান তোলে ভারতীয় নারী দল। বাংলাদেশের হয়ে সুলতানা ৩টি ও ফাহিমা সর্বোচ্চ ২টি করে উইকেট নেন।
সংক্ষিপ্ত স্কোর :
ভারত: ২০ ওভারে ৯৫/৮ (মান্দানা ১৩, শেফালী ১৯, রদ্রিগুয়েস ৮, হারমানপ্রীত ০, ভাটিয়া ১১, হারলিন ৬, দিপ্তী ১০, আমানজত ১৪, পূজা ৭, মিন্নু ৫; মারুফা ৪-০-২৮-১, নাহিদা ৪-০-১৪-১, সুলতানা ৪-০-২১-৩, ফাহিমা ৪-০-১৬-২, রাবেয়া ৪-০-১৬-১)।
বাংলাদেশ: ২০ ওভারে ৮৭ (শামীমা ৫, সাথী ৫, মুর্শিদা ৪, নিগার ৩৮, রিতু ৪, স্বর্না ৭, নাহিদা ৬, রাবেয়া ০, সুলতানা ০, ফাহিমা ০, মারুফা ০; পূজা ১-০-১০-০, মানি ৪-১-৯-২, দিপ্তী ৪-০-১২-৩, আনুশা ৪-০-২০-১, শেফালী ৩-০-১৫-৩, জেমিমাহ ৪-০-১৮-০)।
ফলাফল: ভারত ৮ রানে জয়ী।
সিরিজ: ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে ভারত।