দুর্নীতির চার অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত স্যামুয়েলস

ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাবেক তারকা মারলন স্যামুয়েলস দুর্নীতির অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল চারটি। সবগুলো অভিযোগই প্রমাণিত হয়। আমিরাত ক্রিকেট বোর্ডের (ইসিবি) পক্ষে ২০২১ সালে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসি। দুর্নীতি-বিরোধী স্বতন্ত্র একটি বিচারক প্যানেল আজ এই রায় দেয়। খবর ইএসপিএনক্রিকইনফোর।
আজ বুধবার (১৬ আগস্ট) ইএসপিএনক্রিকইনফোর একটি প্রতিবেদন অনুসারে জানা যায়, ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে স্যামুয়েলসের বিরুদ্ধে ইসিবির চারটি ধারা ভঙ্গ করার অভিযোগ আনে ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসি। আজ উভয় পক্ষের শুনানি শেষে সাবেক এই হার্ডহিটার ব্যাটারকে দোষী সাব্যস্ত করেন বিচারক প্যানেল।

স্যামুয়েলসের বিপক্ষে অভিযোগ মূলত ২০১৯ সালের আবুধাবি টি-টেন লিগের সময়কালের। সেই টুর্নামেন্টে স্যামুয়েলস কর্নাটক টাস্কার্সের স্কোয়াডে থাকলেও টুর্নামেন্টে খেলেননি। সবমিলিয়ে তার বিরুদ্ধে ইসিবির আর্টিকেল ২.৪.২, ২.৪.৩, ২.৪.৬ ও ২.৪.৭ ভঙ্গ করার অভিযোগ ওঠে। আজকের শুনানিতে বিচারকরা তাকে সবগুলোতে তার অপরাধ খুঁজে পায়।
এবারই প্রথম নিয়ম ভাঙার শাস্তি পাননি ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে ২০১২ ও ২০১৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জেতা স্যামুয়েলস। দুটো আসরেই ফাইনালের সেরা খেলোয়াড় হয়েছিলেন তিনি। এর আগে ২০০৮ সালে ম্যাচ ফিক্সিংয়ের দায়ে দুই বছরের জন্য নিষিদ্ধ হয়েছিলেন ২০২০ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নেওয়া স্যামুয়েলস।