সুস্থ মেসি মানেই জাদুর ঝলক

দীর্ঘ প্রায় আট মাস। এই সময়টাতে লিওনেল মেসি মাঠে নেমেছেন, গোল করেছেন, কখনও দল জিতেছে কখনও হেরেছে। মেসি ঠিক মেসিসুলভ খেলা উপহার দিতে পারেননি। গত বছর সেপ্টেম্বর থেকেই মেসির সঙ্গী পুরোনো চোট। ডান পায়ের পেশির চোট নতুন করে দানা বাঁধে শরীরে।
গত আট মাসে মেসি কোনো ম্যাচের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত খেলেছেন, এমন ম্যাচের সংখ্যা খুবই কম। তিনি চেয়েছেন, শরীর সায় দেয়নি। তাকে নিয়ে ঝুঁকি নেননি জাতীয় দলের কোচ লিওনেল স্কালোনি ও ক্লাব কোচ টাটা মার্টিনো। কখনও এ অর্ধের কিছু সময় খেলেছেন, কখনও আবার ছিলেন সম্পূর্ণ বিশ্রামে।
৩৬ বছর বয়সী মেসি এই সময়ে নিজেকে নিয়ে কাজ করেছেন। পুনর্বাসন প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে গেছেন। নিবিড় পরিচর্যায় তিনি সুস্থ হয়ে উঠেছেন। মেজর লিগ সকারে (এমএলএস) আজ রোববার (২১ এপ্রিল) মাঠে নামেন ন্যাশভিলের বিপক্ষে। ম্যাচে জোড়া গোল করেন মায়ামি অধিনায়ক। ৩-১ গোলে জেতা ম্যাচে অপর গোলের অ্যাসিস্টও আসে মেসির পা থেকে। সুস্থ হয়ে চেনা গালিচায় ফিরেই দেখালেন বাঁ পায়ের জাদু। এমন মেসিকেই তো দেখতে চায় ভক্তরা।
বয়স হচ্ছে মেসির। ক্যারিয়ারে নেই কোনো অপ্রাপ্তি। খেলাটাকে এখন কেবলই উপভোগের পালা। সেটিই করছেন তিনি। যতটা সম্ভব সুস্থ থেকে চেষ্টা করছেন দলে অবদান রাখতে। চলতি মাসের শুরুতে মেসি জানিয়েছিলেন, উপভোগ করতে না পারলে খেলা চালিয়ে যাবেন না।
মেসি বলেন, ‘বর্তমানে আমার জন্য বিশ্রাম খুব গুরুত্বপূর্ণ। যত বয়স হচ্ছে, তত কঠিন হচ্ছে সবকিছু। জানি, খুব বেশিদিন নেই হয়তো যখন আমি আর আগের মতো পারফর্ম করতে পারব না। সতীর্থদের সাহায্য করতে পারব না। খেলাটাকে আর আগের মতো উপভোগ করব না। তখন আমাকে থামতে হবে। যতদিন মনে হবে একটু হলেও ভালো আছি, কিছুটা হলেও দিতে পারব, ততদিন চালিয়ে যাব।’