স্ট্রাইক রেট নিয়ে সমালোচনা, সময় চাইলেন শান্ত
টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট ক্রমেই এগুচ্ছে রান বন্যার দিকে। অনেকটা এমন হয়ে দাঁড়িয়েছে যে, ব্যাট হাতে নামো আর বল সীমানা ছাড়াও। পাশের দেশ ভারতের আইপিএলের দিকে তাকালে চোখ আরও কপালে ওঠে। যেখানে টি-টোয়েন্টির জন্য ২০০ রান আজকাল মামুলি হয়ে দাঁড়িয়েছে। এমনকি, আড়াইশ রানও যথেষ্ট নয়।
আধুনিক টি-টোয়েন্টির যুগে যখন ব্যাটারদের রাজত্ব চলছে তখন বাংলাদেশ পড়ে আছে একই ধাচে। সীমিত এই ওভারে বাংলাদেশের খেলা দেখলে বোঝার উপায় নেই, ওয়ানডে নাকি টি-টোয়েন্টি হচ্ছে। দুইশ রান নাগালের বহুদূর। দেড়শ পার হতেই উঠছে নাভিশ্বাস। স্ট্রাইক রেটের হিসাব আরও ভয়ংকর। বিশেষ করে অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তর দিকেই তাকানো যাক।
কদিন বাদে যার নেতৃত্ব বিশ্বকাপে যাবে সেই অধিনায়কের টি-টোয়েন্টি স্ট্রাইক রেট ১১১.১৬। আরও স্পষ্ট করতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তার পারফর্ম দেখা যাক। পাঁচ ম্যাচের সিরিজে বাংলাদেশ অধিনায়কের রান যথাক্রমে- ২১, ১৬, ৬, ২ ও ৩৬।
অধিনায়কের ব্যাটিংয়ের যখন এই হাল তখন সমালোচনা আসা স্বাভাবিক। যদিও, শান্ত এসব নিয়ে মাথা ঘামাচ্ছেন না। তার বিশ্বাস, সময় দিলে মিলবে স্ট্রাইক রেটের সুফল।
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে লজ্জার হারের পর শান্ত স্ট্রাইক রেটের প্রশ্ন আসতেই বলেছেন, 'আমার কাছে সেটা মনে হয় না। কারণ আমাদের দেশে স্ট্রাইক রেট নিয়ে অনেক কথা হয়। স্ট্রাইক রেট, স্ট্রাইক রেট! কিন্তু জিনিসটা হলো যে আপনি যদি চিন্তা করেন আমরা সম্প্রতি ভালো উইকেটে খেলা শুরু করেছি। শ্রীলঙ্কার সঙ্গে যে টি-টোয়েন্টি সিরিজটা খেললাম, ওটা ভালো উইকেটে খেলেছি। এই জিনিসটা আমাদের সময় দিতে হবে।’
লম্বা সময় ধরে যদি ভালো উইকেটে খেলা হয় তাহলে স্ট্রাইক রেটও ভালো হবে বলে মনে করেন অধিনায়ক, 'আমরা যদি লম্বা সময় ধরে ভালো উইকেটে খেলার শুরু করি, ছয় মাস, এক বছর, দুই বছর তারপর আপনি দেখবেন প্রত্যেকটা ব্যাটসম্যান ভালো স্ট্রাইক রেটে ব্যাটিং করছে। এটা শুধু আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে হলে হবে না, আমরা যে বিপিএলে খেলি ওই জায়গাতেও ভালো উইকেটে খেলতে হবে অনেক লম্বা সময় ধরে তারপর আপনি এই পার্থক্যটা দেখতে পাবেন।'