জীবনের ৩৭তম বসন্তে ফুটবল জাদুকর লিওনেল মেসি
লিওনেল মেসি—তাকে নিয়ে লিখ না। তাকে বর্ণনা করার চেষ্টা করো না। শুধু দেখে যাও, মেসিকে নিয়ে এমনটি বলেছিলেন সাবেক বার্সা কোচ পেপ গার্দিওলা। ফুটবল যদি হয় কোনো এক কবিতা, তবে মেসি সেই কবিতার ছন্দ। রোজারিও থেকে বার্সেলোনা হয়ে প্যারিস এরপর মায়ামি; টিস্যু পেপারে সাইন করা থেকে বিশ্ব মাতানো। মেসি যে ‘আধুনিক ফুটবলের জাদুকর’। অনেকের কাছে তিনি গোট, মানে সর্বকালের সেরা। আজ জীবনের ৩৭তম বসন্তে বাঁ পায়ের এই জাদুকর।
লিওনেল মেসির বাঁ পায়ের জাদুতে মন্ত্রমুগ্ধ করেছেন কোটি ভক্তকে। নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন সর্বকালের অন্যতম সেরাদের একজন হিসেবে। বিশ্ব ফুটবলে সব ক্ষেত্রেই সাফল্য পেয়েছেন আর্জেন্টাইন এ ফুটবলার। স্বভাবগত দিক থেকে শান্ত হলেও বল পায়ে তাঁর ক্ষিপ্র গতিতে ছুটে চলা উত্তেজনার রেণু ছড়ায় গ্যালারিতে।
১৯৮৭ সালের ২৪ জুন রোজারিওতে জন্মগ্রহণ করেন মেসি। ফুটবলের সঙ্গে ছোটবেলা থেকেই সখ্যতা গড়ে ওঠা মেসি মাত্র চার বছর বয়সেই স্থানীয় এক ক্লাবে যোগ দেন। মাত্র ছয় বছর বয়সে গায়ে চাপান নিজের প্রিয় ক্লাব নিউ ওয়েলস ওল্ড বয়েজের জার্সি। ফুটবলের দুরন্ত পথচলা মূলত তখন থেকেই শুরু। তবে এই পথচলাটা মসৃণ ছিল না। ১৪ বছর বয়সে হরমোন চিকিৎসা নিতে হয় এই তারকার। চিকিৎসা শেষে তিনি বার্সেলোনার সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন। সেই থেকে ক্লাবটির সঙ্গেই জুড়ে ছিলেন। ২১ বছরের সেই সম্পর্কের ইতি টেনে ২০২১ সালে যোগ দেন ফরাসি ক্লাব পিএসজিতে। তবে, সেখানেও লম্বা সময় থাকেননি। ২০২৩ সালের মাঝামাঝি পাড়ি জমান যুক্তরাষ্ট্রের ক্লাব ইন্টার মায়ামিতে। ফ্লোরিডার এই ক্লাবটি থেকেই ফুটবলকে বিদায় জানাতে চান আর্জেন্টাইন কিংবদন্তি।
রেকর্ড ৪৪টি দলগত শিরোপা জিতে অনেক আগেই শিখরে ওঠা মেসি এখন বিশ্বকাপ জয়ীও। কিছু খেলোয়াড় থাকে, যাদের পরিসংখ্যান দিয়ে বুঝতে যাওয়াটা বোকামির নামান্তর। মেসি তেমনই একজন। মেসিকে বুঝতে দেখতে হবে তার চোখ ধাঁধানো খেলা। পুরো মাঠকে ক্যানভাস বানিয়ে তার পায়ের আঁকিবুঁকি দেখতে হবে স্বচক্ষে। তবেই না বোঝা যাবে মেসিকে।