ফ্রান্সকে হারিয়ে টিকে থাকতে পারবেন রোনালদো?
‘কোন সন্দেহ ছাড়াই এটি আমার শেষ ইউরো। আমি আবেগাপ্লুত নই। সবকিছু ছাপিয়ে এগিয়ে যাচ্ছি পূর্ণ উদ্যম নিয়ে। সমর্থক, পরিবার এবং যারা আমাকে ভালোবাসে তাদের দেখে আমি অনুপ্রেরণা পাই।’—ইউরোর শেষ ১৬-র ম্যাচে স্লোভেনিয়ার বিপক্ষে ম্যাচের পর এমনটিই বলেছিলেন পর্তুগিজ তারকা ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। সেই ম্যাচে পেনাল্টি মিস করে বাচ্চাদের মতো কান্নায় ভেঙে পড়েছিলেন তিনি।
রোনালদো আর ইউরো খেলবেন না, এর মানে দাঁড়ায় শেষ থেকে খুব বেশি দূরে নেই তিনি। হয়তো সেই শেষটা হতে পারে আজ শুক্রবারও (৫ জুলাই)। বাংলাদেশ সময় দিনগত রাত ১টায় জার্মানির হামবুর্গের ভক্সপার্ক স্টেডিয়ামে ফ্রান্সের মুখোমুখি হবে পর্তুগাল।
ইউরোতে এখন চলছে নকআউট পর্ব। হারলেই বিদায়। ছন্দে থাকা ফ্রান্সের তুলনায় খানিকটা পিছিয়ে পর্তুগাল। ৩৯ বছর বয়সী রোনালদো নিজেও নেই চেনা ছন্দে। কোয়ার্টার ফাইনালের ম্যাচটিতে তাই ফল তো দলের জন্য মুখ্যই, সিআরসেভেনের জন্যও কম নয়। ইউরোর সবগুলো ম্যাচ জিতলেও পর্তুগাল খেলতে পারবে আর তিনটি ম্যাচ। (শেষ আট, সেমি ও ফাইনাল)।
এর আগে প্রতিটি ম্যাচই উৎকন্ঠার। অন্তত রোনালদোর জন্য। ২০০৪ থেকে শুরু করে ২০২৪—ছয়টি আসরে টানা খেলছেন। এর মধ্যে গড়েছেন টানা পাঁচ আসরে গোল করার রেকর্ড। এবার এখনও গোলের দেখাই পাননি তিনি। তবু, নামটি রোনালদো বলেই যে কোনো সময় জ্বলে উঠতেই পারেন। তাছাড়া, পর্তুগিজ মহাতারকার অনুপ্রেরণা হতে পারে ২০১৬ ইউরোর ফাইনালে এই ফ্রান্সকে হারিয়েই ইউরো জেতার সুখস্মৃতি।