বাংলাদেশের প্রশংসা করে পাকিস্তানকে ধুয়ে দিলেন আফ্রিদি
সাদা পোশাকে আগের ১৩ ম্যাচের ১২টিতেই জয়। স্রেফ একটিতে ড্র। এমন পরিসংখ্যানের পর বাংলাদেশের কাছে এত বড় হার অবিশ্বাস্য! তাও আবার নিজেদের হোম কন্ডিশনে। পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক শহীদ আফ্রিদিতো ১০ উইকেটের এই হার কিছুতেই মানতে পারছেন না। বাংলাদেশের প্রশংসা করলেও নিজ দেশের বোর্ডের একাদশ নির্বাচন ও পরিকল্পনা নিয়ে ধুয়ে দিলেন আফ্রিদি।
রাওয়ালপিন্ডিতে গতকাল দিনের দ্বিতীয় সেশনেই বাংলাদেশের কাছ হার মানে পাকিস্তান। অথচ ম্যাচটির ফলাফল ড্র হিসেবেই ধরে নিয়েছিল সবাই। নিজেদের ঘরের মাঠ তো বটেই বাংলাদেশের কাছে এই ফরম্যাটে প্রথমবার হারের লজ্জা পেল স্বাগতিকরা। এ ছাড়া দেশের মাটিতে পাকিস্তানের এটিই সবচেয়ে বড় উইকেটের ব্যবধানের হার।
এমন হারের পর দেশটির সাবেক অধিনায়ক শহীদ আফ্রিদি এক্সে এক পোস্টে লিখেছেন, ‘১০ উইকেটে হারের পর এমন পিচ তৈরি, চারজন ফাস্ট বোলার খেলানো এবং বিশেষজ্ঞ স্পিনারকে বাইরে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়ে গুরুতর প্রশ্ন ওঠে। এটা আমার কাছে মনে হয়, দেশের মাটির কন্ডিশন সম্পর্কে সচেতনতার অভাব।’
এরপর বাংলাদেশের প্রশংসা করে তিনি লিখেছেন, ‘এসব বললেও আপনি বাংলাদেশকে কৃতিত্ব না দিয়ে পারবেন না। টেস্ট জুড়ে যে ব্র্যান্ডের ক্রিকেট বাংলাদেশ খেলেছে সেটার কৃতিত্ব তাদের দিতেই হবে।’
সদ্য শেষ হওয়া ম্যাচটির প্রথম চার দিন দাপট দেখিয়েছেন ব্যাটাররা। বোলাররা বিশেষ কোনো সুবিধা পাননি। পাকিস্তানের প্রধান শক্তি তাদের পেস বোলিং। কিন্তু তাঁরা পিচ থেকে কোনও সুবিধা পাননি বলে অভিযোগ করেছেন নাসিম। তাই পিচ কন্ডিশন নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন নাসিম শাহও। তিনি বলেছেন, ‘অনেকগুলো সিরিজ় হয়ে গেল যেখানে এই ধরনের পিচ তৈরি হচ্ছে। আমি বুঝতে পারছি যে, মাঠকর্মীরা অনেক পরিশ্রম করছেন। কিন্তু হয়তো আবহাওয়ার কারণে বোলিং সহায়ক উইকেট তৈরি হচ্ছে না। কিন্তু তার খেসারত আমাদের দিতে হচ্ছে। ঘরের মাঠে সুবিধা তো নিতেই হবে। সেটা না করতে পারলে কী ভাবে জিতব?’
পিচ তৈরি করার ক্ষেত্রে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডকে আরও দায়িত্ব নিতে হবে বলে মনে করেন নাসিম। তিনি বলেন, ‘যে কোনো পিচ তৈরি করলেই হবে না। আমাদের দেখতে হবে, কীভাবে আমরা জিততে পারি। যদি আবহাওয়া বা অন্য কোনও কারণে পেস সহায়ক উইকেট তৈরি করতে না পারি, তা হলে স্পিন সহায়ক উইকেট তৈরি করতে হবে। সে ক্ষেত্রে প্রথম একাদশে বেশি স্পিনার রাখতে হবে। সব দেশ নিজেদের দেশে নিজেদের শক্তি অনুযায়ী উইকেট বানাচ্ছে। তারা সাফল্য পাচ্ছে। কিন্তু আমরা পাচ্ছি না। এটা ক্রিকেট বোর্ডকে দেখতে হবে।’