আন্তঃমহাদেশীয় কাপে চ্যাম্পিয়ন রিয়াল মাদ্রিদ
কাতারের লুসাইল স্টেডিয়াম—ঠিক দুই বছর আগে এই মাঠেই ফ্রান্সকে হারিয়ে বিশ্বকাপ জিতেছিল মেসির আর্জেন্টিনা। মেগা ফাইনালে দারুণ পারফরম্যান্স করলেও শেষমেশ অশ্রুসিক্ত চোখে মাঠ ছাড়তে হয় তারকা ফুটবলার কিলিয়ান এমবাপ্পেকে। এবার আর তেমনটা হয়নি। আন্তঃমহাদেশীয় কাপে মেক্সিকোর ক্লাব পাচুকাকে উড়িয়ে শিরোপা নিজেদের করে নিল স্প্যানিশ ক্লাব রিয়াল মাদ্রিদ। ফাইনালে গোলের দেখা পান এমবাপ্পে। হাসিমুখে ছাড়েন মাঠ।
গতকাল বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) দিনগত রাতে ৩–০ গোলের দারুণ জয়ে ফিফা আন্তঃমহাদেশীয় কাপ জিতেছে রিয়াল মাদ্রিদ। রিয়ালের হয়ে বাকি দুই গোল করেন রদ্রিগো ও ভিনিসিয়াস জুনিয়র। যিনি একদিন আগেই জেতেন ফিফা বর্ষসেরা ফুটবলারের পুরস্কার। চলতি বছরে এটি রিয়ালের পঞ্চম শিরোপা। এর আগে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ, লা লিগা, উয়েফা সুপার কাপ ও স্প্যানিশ সুপার কাপ জেতে তারা।
বদ দখলে পিছিয়ে থাকলেও, আক্রমণভাগে প্রায় সমান লড়াই করেছে মেক্সিকোর দলটি। সমান ১২টি করে শট নিয়ে তারা ৪টি লক্ষ্যে রাখতে পেরেছে, অন্যদিকে একটি বেশি শট লক্ষ্যে ছিল রিয়ালের। ম্যাচের প্রথম সুযোগটি সপ্তম মিনিটে পায় পাচুকা। তবে লুইস রদ্রিগেজের নেওয়া দূরপাল্লার শট রিয়াল গোলরক্ষক থিবো কোর্তোয়া ঝাঁপিয়ে পড়ে কর্নারে পরিণত করেন।
ম্যাচের শুরু থেকে দাপট দেখানো রিয়াল গোলের দেখা পায় ৩৭তম মিনিটে। বেলিংহামের বাড়ানো বল নিয়ন্ত্রণে নিয়ে এমবাপ্পেকে পাস দেন ভিনিসিয়াস। সুযোগ হাতছাড়া করেননি এমবাপ্পে। ফরাসি এই তারকার গোলেই ১-০ ব্যবধানে লিড নেয় লস ব্লাঙ্কোসরা।
৫৩তম মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন রদ্রিগো। এমবাপ্পের কাছ থেকে বল পেয়ে পাচুকার খেলোয়াড়দের এড়িয়ে ডি-বক্সের মাথা থেকে বাঁকানো শটে জাল খুঁজে নেন ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড। ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে যায় রিয়াল। এরপর ব্যবধান আরও বাড়ান ভিনিসিয়াস। ম্যাচের ৮৪তম মিনিটে সফল স্পট কিকে ব্যবধান বাড়ান এই ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড। লুকাস ভাসকেসকে পাচুকার ওসামা ইদ্রিসি ফাউল করলে ভিএআরের সাহায্য নিয়ে পেনাল্টি দেন রেফারি। তাতেই গোল করে দলকে এগিয়ে নেন ভিনিসিয়াস।