মঞ্চ প্রস্তুত, বিপিএল মিউজিক ফেস্ট সোমবার
শেষ কবে এভাবে সেজেছিল মিরপুর শেরেবাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়াম, বলা মুশকিল। আর কয়েক ঘণ্টার অপেক্ষা, এরপরই পর্দা উঠবে বিপিএলের ২০২৫ আসরের। ময়দানের লড়াই নয়, মিউজিক ফেস্ট দিয়ে শুরু হচ্ছে বিপিএলের আসন্ন আসরের যাত্রা। জমজমাট সেই মিউজিক ফেস্ট ঘিরে সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন। এখন সুরের মূর্ছনায় মাতোয়ারা হওয়ার অপেক্ষায় ক্রিকেটপ্রেমীরা।
কনসার্টের আগের দিন রোববার মিরপুরে স্টেডিয়ামে কনসার্টের প্রস্তুতিতে ব্যস্ত ছিলেন আয়োজকরা। কনসার্টের ভেন্যুতে সরাসরি গিয়ে দেখা যায়, স্টেডিয়ামের মূল মাঠের বড় একটা অংশজুড়ে তৈরি হয়েছে মঞ্চ। ভিআইপি টিকেটধারী দর্শকদের জন্য করা হয়েছে বিশেষ সারি। মঞ্চে জ্যামিং (গানের চর্চা) এ ব্যস্ত ছিলেন শিল্পীরা।
আয়োজন সফল করতে চেষ্টার কমতি রাখেনি বিসিবি। স্টেডিয়ামের প্রবেশ গেট থেকে শুরু করে মাঠ ও গ্যালারিতে লেগেছে রঙের ছোঁয়া। মাঠের ভেতর তৈরি হচ্ছে মঞ্চ। মঞ্চের চারপাশে সাউন্ড সিস্টেম স্থাপনের কাজ শেষ। ব্যানার-ফেস্টুন ও রঙের ব্যবহারে চারপাশের পরিবেশে এসেছে নতুনত্ব।
জুলাই-আগস্টের অভ্যুত্থানে আহতদের জন্য একটি বিশেষ ব্যবস্থা রেখেছে বিসিবি। “জোন ৩৬” নামে এই জোনে ১০০টি আসন সংরক্ষিত থাকবে। মনোরম এই আয়োজন বিকেল সাড়ে ৪টায় শুরু হয়ে শেষ হবে রাত ৯টায়। গেট খোলা হবে দুপুর আড়াইটায়। বন্ধ হবে সাড়ে ৪টায়। নিরাপত্তা পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে স্টেডিয়ামের মধ্যে রয়েছে সেনাবাহিনীর উপস্থিতি। সাজসজ্জার কাজেও তাদের তদারকি লক্ষ্য করা গেছে।
ঢাকার পর সিলেট এবং চট্টগ্রামেও কনসার্ট হবে। ঢাকায় আয়োজিত মিউজিক ফেস্টে পাকিস্তানি কিংবদন্তি সংগীতজ্ঞ রাহাত ফাতেহ আলী খানসহ দেশের জনপ্রিয় শিল্পীরা সংগীত পরিবেশন করবেন। যে তালিকায় আছে মাইলস, অ্যাভয়েড রাফার মতো জনপ্রিয় ব্যান্ড। এছাড়া থাকছেন র্যাপার হান্নান, জেফার, মুজা ও সঞ্জয়।
আগামীকাল (সোমবার) মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে বিকেল ৩টায় শুরু হবে বিপিএল মিউজিক ফেস্ট। এই ফেস্ট উপলক্ষ্যে বেলা আড়াইটায় খোলা হবে মিরপুরের গেট। বিকেল সাড়ে ৪টার পর আর কোনো দর্শককে ঢুকতে দেওয়া হবে না। পরবর্তীতে সিলেট ও চট্টগ্রামেও হওয়ার কথা রয়েছে এই ফেস্ট।
উল্লেখ্য, ফরচুন বরিশাল ও দুর্বার রাজশাহীর ম্যাচ দিয়ে ৩০ ডিসেম্বর শুরু হবে দেশের একমাত্র ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট প্রতিযোগিতাটি। বিপিএলের একাদশ আসরে ৭ দল অংশ নিচ্ছে। মোট ৪৬ ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে। খেলা হবে ঢাকা, সিলেট এবং চট্টগ্রামে। ফাইনাল ম্যাচ হবে ৭ ফেব্রুয়ারি। বাড়তি একদিন রিজার্ভ হিসেবে রাখা হয়েছে।