বাংলার ক্রিকেটে অন্যরকম ঈদ

পঞ্চপাণ্ডব—বাংলাদেশের ক্রিকেট মানেই পাঁচ তারকার গল্প। দেশের ক্রিকেটের প্রেক্ষাপটে তারা ছিলেন মহাতারকা। মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা, তামিম ইকবাল, সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে ছাড়া গত দেড় যুগে বাংলার ক্রিকেট কল্পনা করা যেত না। সেই তারাই এখন সোনালী অতীত।
মাশরাফী ক্রিকেট ছেড়েছেন ২০১৯ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপের পর। ২০২৩ সালে নানা কাণ্ডের পর জাতীয় দলের পাট চুকান তামিম। ২০২৪ সালে সাকিব এবং চলতি বছর মুশফিক ও মাহমুদউল্লাহ খেলা ছেড়েছেন। মুশফিক অবশ্য সাদা পোশাকে চালিয়ে যাবেন। সাকিব নেই রাজনৈতিক কারণে। বলা চলে, জাতীয় দলের দরজা তার জন্য প্রায় বন্ধই।
পাঁচ কিংবদন্তিকে ছাড়া নতুন করে সামনে চলবে বাংলাদেশ। কালের নিয়মে একদিন থামতেই হতো তাদের। কিন্তু, নানা ঘটনা-রটনায় একেকজনের ক্যারিয়ার থেমেছে একেকভাবে। দেশের ক্রিকেটে তাদের অবদান হিসেব করলে যা কাম্য ছিল না। তবু, সময় চলে যায় তার আপন নিয়মে। সত্যি হচ্ছে তারা এখন সাবেকদের কাতারে। সেই হিসেবে বলতে হয়, অন্যরকম এক ঈদ পালন করছে বাংলার ক্রিকেট, যেখানে থেকেও নেই পঞ্চপাণ্ডব।
সাবেক পাঁচ অধিনায়ককে ছাড়া নতুনভাবে পথ চলা শিখতে হবে বাংলাদেশ দলকে। তাসকিন আহমেদ, মেহেদী হাসান মিরাজ, নাজমুল হোসেন শান্ত, লিটন কুমার দাস, তাইজুল ইসলামদের নিয়ে নতুন বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে নতুন আলোয়, এমনটিই চাওয়া ভক্তদের। ক্রিকেটের প্রতি আবেগ-ভালোবাসার কমতি কখনও ছিল না এই দেশে। খেলাটি মিশেছে জীবনের সঙ্গে। ক্রিকেটে ভালো করলে আনন্দে মাতে দেশ, খারাপ খেললে হয় মন খারাপ।
প্রত্যাশার সঙ্গে প্রাপ্তির ফারাক আছে বিস্তর। যতটা আলাপ খেলাটি নিয়ে, ততটা সাফল্য নেই। সম্ভাবনার পালে হাওয়া দিচ্ছেন তরুণরা। রিশাদ হোসেন, জাকের আলী, তাওহিদ হৃদয়, তানজিদ তামিম, তানজিম সাকিবরা ডরহীন ক্রিকেট খেলছেন। নিজেদের ভুল শুধরে প্রতিনিয়ত চেষ্টা করছেন উন্নতির। ফিল সিমন্সের মতো অভিজ্ঞ কোচের অধীনে এবং তারুণ্যের ডানায় চেপে আসছে দিনে অন্যরকম এক বাংলাদেশকে দেখার আশা ভক্তরা করতেই পারে।