আমাদের একজন জ্যোতি আছেন...

আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দলের সাফল্য অনেক বেশি নয়। ক্রিকেটের অভিজাত আঙ্গিনায় বাংলার মেয়েরা এখনও সংগ্রাম করছে। স্বল্প সামর্থ্যে মেয়েরা হারিয়েছে ভারত, ওয়েস্ট ইন্ডিজের মতো দলকে। ১০ বছর পর জয় পায় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে। সবই হয়েছে নিগার সুলতানা জ্যোতির নেতৃত্বে।
বাংলাদেশের ক্রিকেটে জ্যোতি যেন আশার আলো। একজন অধিনায়ক, যিনি দল খারাপ খেললে সতীর্থদের সাহস দেন। ভালো করলে কৃতিত্বের ভার দেন অন্যদের। এমন অধিনায়কই তো চান সবাই। ব্যর্থতার দায়ভার নিজের কাঁধে নিতে দ্বিতীয়বার ভাবেন না, সাফল্যের ভাগও সবার মাঝে বিতরণ করে দেন।
জ্যোতি শব্দের অর্থ আলো। নামের মতোই আলো ছড়িয়ে যাচ্ছেন তিনি। দলকে বেঁধেছেন এক সুতোয়। চলমান নারী ওয়ানেডে বিশ্বকাপের বাছাইপর্বেই যেমন মুন্সিয়ানা দেখাচ্ছেন। দলকে বেঁধেছেন এক সুতোয়। চলমান নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপের বাছাইপর্বেই যেমন মুন্সিয়ানা দেখাচ্ছেন। দুই ম্যাচেই ক্যাপ্টেন ছিলেন ‘ফ্যান্টাস্টিক।’
থাইল্যান্ডের সঙ্গে প্রথম ম্যাচে দ্রুততম শতক। এতটুকুই যথেষ্ট তাকে তুলে ধরতে। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে দ্বিতীয় ম্যাচে ম্যাচসেরা হতে পারেননি। কিন্তু, যা করেছেন তাতেই মূলত দলের ভিত মজবুত হয়েছে। উইকেটের পেছনে বিশ্বস্ত হাতে তিন তিনটি স্ট্যাম্পিং! ব্যাট হাতে হাল ধরেছেন এমন এক সময়ে, ২ রানে ২ উইকেট হারিয়ে ব্যাকফুটে বাংলাদেশ। জ্যোতির ৬৮ বলে ৫১ রানের ইনিংস পরিস্থিতি অনুকূলে এনে দেন। যাতে ভর দিয়ে রিতু মনি ও নাহিদা তুলিতে শেষ আঁচড় দেন। বাংলাদেশ তুলে নেয় রোমাঞ্চকর জয়।
২৭ বছর বয়সী জ্যোতি জানেন দলের সীমাবদ্ধতা। যতটুকু আছে তা নিয়ে কীভাবে লড়াই করতে হয়, সেটিও জানেন ভালোভাবে। তাই তো, কাঁধে বিশাল দায়িত্বের ভারে এতটুকু নুইয়ে পড়ছেন না।