ভুটানে গেলে যে ৭ জায়গা ঘুরবেন
ভুটান এমন একটি জায়গা যেখানে সবুজের দেখাও পাবেন, আবার তুষারে ঢাকা হিমালয়ও পাবেন। এর আবহাওয়া খুবই মনোরম। এখানকার স্থানীয়রা ভ্রমণকারীদের উষ্ণ সাথে অর্ভ্যথনা জানায়। ভুটানের যেদিকেই তাকাবেন সেদিকেই সুন্দর দৃশ্য । এই দেশটি 'দ্যা ল্যান্ড অফ হ্যাপিনেস' নামেও পরিচিত। তাই একটি স্মরণীয় অভিজ্ঞতা পেতে ঘুরে আসুন ভুটান থেকে।
টাইগারস নেস্ট মনাস্ট্রি
তাক্তসাং মনাস্ট্রি বা টাইগারস নেস্ট মনাস্ট্রি পারোতে অবস্থিত। এটি ভুটানের সবচেয়ে জনপ্রিয় স্থান। এই মনাস্ট্রি প্রায় ১০০০ মিটার উচ্চতায় অবস্থিত। কয়েক ঘন্টা ট্রেকিং-এর পর আপনি এই মনাস্ট্রির দেখা পাবেন। ট্রেকিং এর পথে আপনি উপভোগ করতে পারবেন মনোরম দৃশ্য। এই অভিজ্ঞতা একদম মিস করা যাবে না। ভুটানি দেবতাদের এই মনাস্ট্রিটির উপর থেকে শহরের একটি নৈসর্গিক দৃশ্যে দেখার সুযোগ দেবে।
বুদ্ধ ডোরডেনমা
২০১৫ সালে থিম্পু শহরে বুদ্ধ ডোরডেনমা নির্মাণ হয়। মূর্তিটি স্থল থেকে প্রায় ৫০ মিটার উঁচু। স্থানীয়দের কাছে এটি একটি জনপ্রিয় তীর্থস্থান। অন্যদিকে, দর্শনার্থীদের জন্য একটি পর্যটন আকর্ষণ।
চোরটেনের ন্যাশনাল মেমোরিয়াল
এই মন্দিরটি ১৯৭৪ সালে ভুটানের রাজার সম্মানে নির্মিত হয়েছিল। এই মন্দিরে প্রবেশ করার সময় রয়েছে সুন্দর একটি রাস্তা। যার দুইপাশ সবুজে ঘেরা। অনেক পর্যটকরা দিনের বেলায় এখানে হাঁটতে পছন্দ করেন।
ডোচুলা পাস
থিম্পু এবং পুনাখার মধ্যে ডোচুলা পাস অবস্থিত। এটি খুবই জনপ্রিয়। প্রায় ৩০০০ মিটার উচুতে এটি নির্মাণ করা হয়েছে। এই মঠটি ঠাণ্ডার সময় বরফে আচ্ছাদৃত থাকে। এর কাছাকাছি একটি বোটানিক্যাল গার্ডেনও রয়েছে।
ফুনাকা জং
ফুনাকা জং ভুটানের প্রশাসনিক ভবন। প্রশাসনিক অফিসের পাশাপাশি সন্ন্যাসীদের থাকার ব্যবস্থাও রয়েছে এখানে।
সাসপেনশন ব্রিজ
ফুনাকা জং থেকে একটু দূরে রয়েছে ঝুলন্ত সেতু। ১৬০ মিটারের এই সেতুটি ভুটানের দীর্ঘতম সেতু। ফুনাকা শহরকে ফুনাকা জংয়ের সাথে পো চু নদীর উপর দিয়ে সংযুক্ত করেছে এই সেতুটি।
ফার্টিলিটি মন্দির
ফুনাকা থেকে এই মন্দিরিটি বেশ কাছে। প্রায় ২০ মিনিটের হাঁটাপথেই মিলে যাবে মন্দিরটি। মন্দিরটিকে পবিত্র বলে মনে করা হয়। কারণ মহিলারা এখানে আসেন শিশুদের জন্য প্রার্থনা করতে। তাই এর নাম ফার্টিলিটি মন্দির। ১৪৯৯ সালে মন্দিরটি নির্মাণ হয়েছিল।
সূত্র- এনডিটিভি