পূজায় ঘোরাঘুরি
ঘুরে আসুন মিষ্টি আর রাজবাড়ীর শহরে

ইলিশের রাজধানী হিসেবে চাঁদপুরের সুপরিচিতি থাকলেও এখানকার মিষ্টির খ্যাতিও কম নয়। তেমন একটা আলোচনা করা হয় না বলেই হয়তো বা বিখ্যাত এই মিষ্টির কথা অনেকেরই অজানা।
প্রসিদ্ধ এই মিষ্টি খেতে আপনাকে যেতে হবে চাঁদপুর জেলার অন্তর্গত ফরিদগঞ্জ উপজেলায়। চাঁদপুর লঞ্চঘাট থেকে খানিকটা দূরে এই ফরিদগঞ্জ। যেতে পারেন সিএনজি করে। খালি মিষ্টি খেতে গেলে তো আর এত টাকা সিএনজি ভাড়া দিয়ে পোষাবে না। তাই আশপাশের কিছু দর্শনীয় স্থান দেখে আসতে পারেন।
ফরিদগঞ্জে রয়েছে একটি জমিদারবাড়ি ও একটি মঠ। তাই এগুলো একসঙ্গে দেখে আসতে পারেন এবং মিষ্টি খেয়ে আসতে পারেন।
ফরিদগঞ্জে কী কী দেখবেন?
★ রূপসা জমিদারবাড়ি
গতানুগতিক জমিদারবাড়ির মতো পুরাতন, ভাঙাচোরা না হলেও সামনে রয়েছে সবুজ ঘাসে মোড়ানো একটি মাঠ। সেখানে বসে আড্ডা দিতে পারেন। ভালো লাগবে। নতুন জমিদারবাড়ির পেছনের দিকে রয়েছে পুরাতন জমিদারবাড়ির ভাঙাচোরা অংশবিশেষ, সেটা দেখতে ভুলবেন না।
এ ছাড়া রয়েছে সুবিশাল পুকুরঘাট, সেখানে আপনি কাটিয়ে দিতে পারেন কিছুটা সময়। এ ছাড়া মেইন গেট দিয়ে ঢুকতেই রয়েছে একটি সুন্দর মসজিদ।
★ লোহাগড়া মঠ
প্রাচীন নিদর্শনের সুন্দর সাক্ষী এই মঠ। প্রতিদিন অনেক ভ্রমণপিপাসু এই মঠ দেখতে আসেন।
ফরিদগঞ্জের বিখ্যাত খাবার
★ আউয়াল ভাইয়ের মিষ্টি
এককথায় অসাধারণ। মুখে পুরে দিলেই আর কোনো হদিস পাবেন না। যে কেউ অনায়াসে কয়েকটি মিষ্টি গলাধঃকরণ করতে পারবেন। দোকান মালিকের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ঢাকা থেকে অনেকেই এখানে আসেন মিষ্টি খেতে। এখানে পাবেন স্পঞ্জের মিষ্টি, যা আপনার লোভ আরো বাড়িয়ে তুলবে। প্রতি পিস মিষ্টি ১৫ টাকা করে।
★ কীভাবে যাবেন ফরিদগঞ্জ
চাঁদপুর লঞ্চঘাট থেকে নামলেই সিএনজিওয়ালারা আপনাকে এমনভাবে ঘিরে ধরবে যে আপনার আর সিএনজি খুঁজতে কোথাও যেতে হবে না। রিজার্ভ এক সিএনজিতে পাঁচজন বসতে পারবেন। রূপসা জমিদারবাড়ি ও আউয়াল ভাইয়ের মিষ্টি দোকানে আসা-যাওয়ার ভাড়া পড়বে ৫০০ টাকার মতো। আর একই সঙ্গে লোহাগড়া মঠ যেতে চাইলে অতিরিক্ত ১০০/১৫০ টাকা গুনতে হবে।।
★ চাঁদপুর শহরে কী কী দেখবেন?
★প দ্মার চর
তিন নদীর মোহনা পার হয়ে একটি সুবিশাল বালুচর। সবাই সাধারণত সকাল সকাল যায়। তখন ভিড় বেশি থাকে। তাই ভিড় এড়াতে চাইলে দুপুরবেলা যাওয়া উত্তম। যদিও চর তখন হাঁটুসমান পানিতে ডুবে যায়। তাই ঝাঁপাঝাঁপি, গোসল করার সুযোগ রয়েছে। তবে চরে হাঁটতে চাইলে যেতে হবে সকাল সকাল।
★তিন নদীর মোহনা
এটি একটি পার্কের মতো। এখানে বসে আড্ডা দিতে ভালো লাগবে। বিকেলে যাওয়াটা উত্তম।
খাবার
★ওয়ান মিনিট আইসক্রিম
খুবই মজার, কিছুটা ব্যানানা ফ্লেভার। খেতে ভুলবেন না।
★কোথায় ইলিশ পাবেন
চাঁদপুর গিয়ে ইলিশ ভাজা না খেয়ে এলে ভ্রমণটা যেন অসম্পূর্ণ রয়ে যায়। তাই মজাদার ইলিশের জন্য বিআইডব্লিউটিএ ক্যান্টিনে খেতে পারেন। আকারভেদে প্রতি পিস ইলিশের দাম ১০০ থেকে ১২০ টাকা পড়বে। এ ছাড়া ইলিশের লেজ ভর্তা খেতে ভুলবেন না যেন।
ন্যায্য দামে ভালো খাবার
চাঁদপুর লঞ্চ টার্মিনাল থেকে বের হলেই হাতের ডান পাশে পরবে এই ক্যান্টিন।
★চাঁদপুর কীভাবে যাবেন :
ঢাকার সদরঘাট থেকে প্রতি আধা ঘণ্টা পর পর চাঁদপুরের উদ্দেশে লঞ্চ ছেড়ে যায়। ভোর ৬টা থেকে লঞ্চ চলাচল শুরু হয়। একদিনের ভেতরেই সব জায়গা ঘুরে আসতে পারবেন। চাঁদপুরের মানুষ অতিথিপরায়ণ, স্থানীয়দের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করবেন।