খারদুংলার পথে
বার-লাচা লা পাসের পথে
শিশু গ্রামটির আচরণ শিশুসুলভ মনে হলো আমার কাছে। রাতে খাবার শেষ করে একটু বের হলাম গ্রামটা ঘুরতে। ৬টার দিকেও একবারে দিনের আলো। সুন্দর পরিপাটি গ্রাম। ভেড়ার পাল নিয়ে ৭টার দিকে ঘরে ফিরছে রাখাল, সঙ্গে কয়েকটি পোষা কুকুর দেখলাম। জিজ্ঞেস করে জানতে পারলাম, পাহারা দেওয়ার জন্য কুকুর রাখে ওরা। ঘুরতে ঘুরতেই সন্ধ্যা নেমে এলো। রাতে এক অন্য রকম গ্রাম। আকাশটা অনেক কাছে মনে হয়। আর দুদিন পর পূর্ণিমা। আজকেই চাঁদের কী যে আলো, না দেখলে বোঝানো যাবে না। পরদিন আবার বের হতে হবে, তাই আর বেশি দেরি না করে রুমে ফিরলাম। পরদিন ভোরে যাত্রা করলাম। একটু বলে রাখি, শিশুতে প্রচুর সবজি হয়। এ অঞ্চল সবজি চাষের জন্য বিখ্যাত। পুরো রাস্তা দেখতে দেখতে একইভাবে সময় কেটে গেল। আজ এসে পৌঁছালাম জিসপা।
জিসপা এসে আমি সবুজ হারিয়ে ফেললাম। শুধু বিশাল বিশাল পাহাড়ের মধ্যে পিঁপড়া মনে হচ্ছিল নিজেকে। এখানে দোকানে কমবেশি বেশ ভালো জিনিসটা পাওয়া যায়।
একপাশে পাহাড়ি নদী আর চারদিকে কয়েকটা মাত্র তাঁবু।
রাতে যে তাঁবুতে ছিলাম, তাদের বলে নিজেই রান্না করার সিদ্ধান্ত নিলাম। আলু আর গাজরের সবজি, সঙ্গে ডিম ভুনা করে খেলাম সবাই। মনে হচ্ছিল, কত দিন পর মন ভরে খেলাম।
পরদিন ভোরে উঠে প্রস্তুত হয়ে যাত্রা শুরু করলাম আমরা। প্রচণ্ড ঠান্ডা, চা যেন নিমেষেই ঠান্ডা হয়ে যাচ্ছিল। নাশতা শেষ করে বের হলাম, কারণ সামনে কিছুই পাব না আর। আবারও পাহাড়ের ভেতর হারিয়ে যাওয়া পথেই আমরা এগিয়ে চললাম।