জলবায়ু চুক্তিতে থাকতে চান না ট্রাম্প, জাতিসংঘকে আনুষ্ঠানিকভাবে জানাল যুক্তরাষ্ট্র

প্যারিস জলবায়ু চুক্তি থেকে সরে যাওয়ার কথা জাতিসংঘকে আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়ে দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
চুক্তি ত্যাগের এই প্রক্রিয়া এক বছর মেয়াদি, যার শেষ তারিখ ২০২০ সালে অনুষ্ঠিতব্য মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের পরের দিন। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ খবর জানিয়েছে।
জলবায়ু সংকট মোকাবিলায় প্যারিস চুক্তিভুক্ত রয়েছে বিশ্বের ১৮৮টি দেশ। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও গত মাসেই প্যারিস চুক্তি থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা ঘোষণা করেছিলেন। সে সময় পম্পেও জানান, এই চুক্তি যুক্তরাষ্ট্রের ওপর ‘অন্যায্যভাবে অর্থনৈতিক বোঝা’ চাপিয়ে দিয়েছে।
প্যারিস চুক্তি অনুযায়ী, বৈশ্বিক উষ্ণায়নের মাত্রা ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কম রাখতে অঙ্গীকারবদ্ধ হয় যুক্তরাষ্ট্রসহ আরো ১৮৭টি দেশ। পাশাপাশি বৈশ্বিক উষ্ণায়নের মাত্রা দেড় ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি নামিয়ে আনতে চেষ্টা করবে বলেও সম্মত হয় দেশগুলো।
২০১৭ সালের ১ জুন প্যারিস চুক্তি থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে সরে আসার ঘোষণা দিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড ইউরোপিয়ান অ্যাফেয়ার্স ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছিল, ট্রাম্পের এমন সিদ্ধান্তের ফলে প্যারিস চুক্তি ‘খুবই ক্ষতিগ্রস্ত’ হবে। এ ছাড়া অন্য ক্ষমতাধর দেশগুলোও যুক্তরাষ্ট্রের পথ অনুসরণ করার সুযোগ পেয়ে যাবে বলেও প্রতিবেদনে আশঙ্কা করা হয়।
ওই প্রতিবেদনে রাশিয়া ও তুরস্কের উদাহরণ দিয়ে বলা হয়, দেশ দুটি চুক্তি মেনে চলছে না।
বৈশ্বিক কার্বন নিঃসরণের ১৫ শতাংশই হয় যুক্তরাষ্ট্র থেকে। তবে একই সঙ্গে বৈশ্বিক উষ্ণায়ন মোকাবিলা করতে উন্নয়নশীল দেশগুলোকে আর্থিক ও কারিগরি সহায়তা দেওয়া দেশগুলোর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র অন্যতম।
শিল্পকারখানা ও কৃষি খাত থেকে বায়ুমণ্ডলে ক্ষতিকর গ্যাস নিঃসরণ কিংবা গ্যাসের ক্ষতিকর প্রভাবকে জলবায়ু পরিবর্তন বা বৈশ্বিক উষ্ণায়ন বলা হয়। এই গ্যাস নিঃসরণ কমিয়ে উষ্ণায়ন বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে আনতে ২০১৫ সালে প্যারিস জলবায়ু চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।